প্রতিবেদন: আবার দিল্লি চলোর ডাক কৃষকদের। আগামী ৬ ডিসেম্বর এই ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারী কৃষকদের মূল সংগঠন সংযুক্ত কিসান মোর্চা। স্বাভাবিকভাবেই হৃদস্পন্দন বেড়ে গিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের। প্রমাদ গুণছে হরিয়ানার গেরুয়া সরকারও। সোমবারই মোর্চার পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘দিল্লি চলো’ আন্দোলনের কর্মসূচি। মূল দাবি, উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনগত নিশ্চয়তা। এছাড়াও অন্যান্য দাবদাওয়া আদায়ের প্রশ্নেও আপসহীন কৃষিজীবীরা।
লক্ষ্যণীয়, কৃষকদের দিল্লি অভিযানের ডাক এই নিয়ে ৩ বার। এর আগে ১৩ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কৃষকদের মিছিল দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলেছিল রাজধানীর দিকে। কিন্তু দু’বারই সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কৃষিজীবীদের গতিরোধ করে হরিয়ানা পুলিশ। রীতিমতো অমানবিক আচরণের শিকার হন শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীরা। ২১ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে প্রাণ হারান শুভকরণ সিং নামে এক তরুণ কৃষক। তাঁর দেহে গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়। এর থেকেই স্পষ্ট, পুলিশ গুলি চালিয়েছিল সেদিন। হরিয়ানার সীমানা পার হয়ে আন্দোলনকারীরা দিল্লিতে প্রবেশ করতে চেষ্টা করলে পুলিশ ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁদের উপরে।
আরও পড়ুন-এনবিএসটিসির আলিপুরদুয়ার থেকে কোচবিহার চালু লেডিস স্পেশাল বাস
এবারে কিন্তু অশান্তি এড়িয়ে দিল্লি পৌঁছতে যে মরিয়া কৃষি-আন্দোলনকারীরা তা তাঁদের কথাতেই স্পষ্ট। জোরদার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কৃষকনেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল ঘোষণা করেছেন, ২৬ নভেম্বর থেকে আমরণ অনশনে বসবেন তিনি। নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে ঐতিহাসিক দিল্লি চল অভিযানের চতুর্থ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষ্যেই তাঁর এই অনশন। আন্দোলনকারীদের নেতা সোমবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, শম্ভু এবং খানৌরি সীমান্তে পুলিশ কংক্রিটের ব্যারিকেড তুলেও রুখতে পারবে না কৃষকদের। গত ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাব-হরিয়ানার এই দুই সীমানাতেই পুলিশের বাঁধা পেয়ে সেখানেই বসে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট একটি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ে দিয়েছিল। আন্দোলনকারী কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা এবং দাবিদাওয়ার বিষয় খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এই কমিটিকে।