প্রতিবেদন : ঐতিহাসিক একুশে। ধর্মতলার জনসমুদ্র ভেঙে দিল অতীতের সব রেকর্ড। রবিবার গোটা বাংলার তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের ভিড় আছড়ে পড়ল কলকাতায়। কিন্তু তাতেও থমকে গেল না শহরের জনজীবন। রাজপথে লক্ষ মানুষের ভিড় সামলেও সচল রইল যান। কলকাতা পুলিশের প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মীর তৎপরতায় রবিবাসরীয় শহরের কোথাও বিন্দুমাত্র যানজটও হয়নি। সকাল থেকে হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, শ্যামবাজার, হাজরা-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল পৌঁছয় ধর্মতলার সভামঞ্চে। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকের ভিড়েও সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর রাখে পুলিশ।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী একসূত্রে গাঁথলেন বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে
পাশাপাশি, সভা শেষেও একুশের সমাবেশকে সফল করতে আসা লক্ষাধিক দলীয় কর্মীদের সাবধানে বাড়ি ফেরার জন্য সবরকম বন্দোবস্ত করা হয় দলের তরফে। ধর্মতলার পাশাপাশি শিয়ালদহ, হাওড়া ও কলকাতা স্টেশনেও ছিল সহায়তাকেন্দ্র। ছিল বাস ও গাড়ির। যাঁরা সভা শেষে বাড়ি ফিরতে পারেননি, তাঁদের জন্যও ছিল ব্যবস্থা। দলনেত্রীর বক্তব্যের শেষেই সভা ভাঙলে ধর্মতলা চত্বরে নেমে পড়েন কলকাতা পুরসভার সাফাইকর্মীরা। সভাস্থল থেকে কর্মী-সমর্থকরা বেরিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সাফাই অভিযান চলে। বিকেলের আগেই সাফসুতরো করে ধর্মতলা অঞ্চলে শুরু হয় যান পরিবহণ।