সংবাদদাতা, মহেশতলা : মহেশতলায় (Mahestala) পুড়ে মৃত্যু একই পরিবারের তিনজনের। মৃত তিনজন সোমা মণ্ডল (৪০), সাহেব মণ্ডল (১৩) ও রাহুল মণ্ডল (১১)। মহেশতলার (Mahestala) আক্রা কৃষ্ণনগর পূর্ব মণ্ডলপাড়ার ঘটনা। গোপাল গায়েনের একতলা টালির বাড়ি। সেটি ভাড়া দেন তিনি। ওই বাড়িতেই ভাড়ায় থাকেন পেশায় সবজিবিক্রেতা প্রভাস মণ্ডল। সঙ্গে স্ত্রী সোমা এবং দুই সন্তান সাহেব ও রাহুল। প্রভাস নাকি কোনও কোনও দিন রাতে বাড়ি না ফিরে নিজের সবজির দোকানেই থেকে যেতেন। এদিনও তাই করেছিলেন। এদিকে শনিবার রাত ১২টা নাগাদ স্থানীয়রা পোড়া গন্ধ পেতে শুরু করেন। তারপর আর্তচিৎকার কানে আসে। প্রতিবেশীরা বেরিয়ে দেখেন ওই টালির বাড়ি দাউদাউ করে জ্বলছে। খবর পেয়ে দমকলের দুটি ইঞ্জিন আসে। তার আগেই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান প্রতিবেশীরা। বাড়ির ভিতর থেকে বের করা হয় সোমা ও তাঁর দুই ছেলের দগ্ধ দেহ। কীভাবে আগুন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইচ্ছে করে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। প্রথমে স্থানীয়রা মনে করেছিলেন, গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে অগ্নিকাণ্ড। তারপর দেখা যায়, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক করছে, তবে বিস্ফোরণ হয়নি। এদিকে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। বেলায় ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সামনে মৃতা বধূর বাপেরবড়ির লোকজন খুনের অভিযোগ তোলেন। এরপর প্রভাসকে আটক করে পুলিশ। প্রভাস আগে বাস চালাতেন। লকডাউন শুরু হওয়ার পর সবজির ব্যবসা করেন। প্রভাসের প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন। ইদানীং স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। পোড়া বাড়িতে ফরেনসিক দল পৌঁছে গিয়েছে। তারা বিভিন্ন নমুনাও সংগ্রহ করেছে।