দুঁদে গোয়েন্দা ভাবনা

ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন আলাদা কিছু করার। তাই নাম লিখিয়েছিলেন প্রাইভেট ডিটেকটিভ এজেন্সিতে। দেখতে দেখতে একদিন ছক ভেঙে হয়ে উঠলেন ‘মিস মার্পল অব দ্য ক্যাপিট্যাল’। তিনি হলেন দুঁদে গোয়েন্দা ভাবনা পালিওয়াল। তাঁকে নিয়ে লিখলেন সৌরভকুমার ভূঞ্যা

Must read

ডিটেকটিভ কিংবা প্রাইভেট ডিটেকটিভ-এর কথা বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে কোনও পুরুষের ছবি যিনি আপন বুদ্ধি, চাতুর্য আর সাহসিকতায় অপরাধীদের পাকড়াও করেন। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গোয়েন্দাক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ছিল পুরুষ-প্রাধান্য। এরকম অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে একসময় মেয়েদের উপস্থিতি ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে আজকের নারীরা ছকে বাঁধা জীবন থেকে বেরিয়ে বেছে নিচ্ছেন গোয়েন্দাগিরির মতো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ কাজটি। সেই সকল নারী গোয়েন্দার মধ্যে অন্যতম হলেন ভাবনা পালিওয়াল— যিনি আপন দক্ষতায় এই ক্ষেত্রে অনন্য কীর্তি স্থাপন করেছেন।
ভাবনা পালিওয়ালের কথা বলতে গেলে অবশ্যই করে বলতে হয় ভারতের প্রথম মহিলা প্রাইভেট ডিটেকটিভ রজনী পণ্ডিতের কথা। অসামান্য, দুঃসাহসিক সব কেস সমাধানের মাধ্যমে তিনি কেবল গোয়েন্দাক্ষেত্রে নিজের দক্ষতার পরিচয় রাখেননি, পাশাপাশি পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীর ক্ষমতাকে নতুন ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই সঙ্গে নারীদের এই পেশায় আসার ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন। ভাবনা তাঁরই পথের উত্তরসূরি বললে ভুল বলা হবে না।

আরও পড়ুন-কৃষি বিপ্লবী অনিতা

উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রামে ভাবনার জন্ম। পাঁচ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। চার ভাইবোনের মধ্যে ভাবনা ছিলেন একটু আলাদা। ছোটবেলা থেকে তিনি স্বপ্ন দেখতেন আলাদা কিছু করার, নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তোলার। তাঁর এই ভাবনায় অনুঘটকের মতো কাজ করেন কিরণ বেদী। প্রথম মহিলা আইপিএস অফিসার হয়ে কিরণ বেদী তখন শিরোনামে। তাঁর কৃতিত্ব, ব্যক্তিত্ব, সুট-বুট পরা ছবি আলোড়িত করে ভাবনাকে। সেদিন থেকেই তিনি মনে মনে স্বপ্ন দেখতেন কিরণ বেদীর মতো হবেন। তিনি এও জানতেন আইপিএস বা আইএএস হওয়ার জন্য যে মেধা বা দক্ষতা প্রয়োজন তা তাঁর নেই। তাই সেসব হওয়ার কথা ভাবেননি। তিনি শুধু এটাই ভাবতেন কিরণ বেদীর মতো একটি স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলবেন, তাঁর মতোই সমাজের জন্য কাজ করবেন।
কলেজ পাশ করার পর যখন তিনি কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না, তখন তাঁর দাদা তাঁকে দিল্লি ডেকে পাঠান। তিনি এখানে পড়াশোনা করতেন। দিল্লি তাঁর কাছে সেই ছোট থেকে ছিল ভালবাসার শহর। দাদার ডাক পেয়ে ১৯৯৮-এ তিনি দিল্লি আসেন। তখন তাঁর বয়স একুশ বছর। দাদা তাঁকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হওয়ার একটি কোর্সে ভর্তি করে দেন। কিন্তু এই বিষয়ে তিনি তেমন উৎসাহ পাচ্ছিলেন না। তাই দাদার পরামর্শে সেই বিষয় বাদ দিয়ে তিনি সাংবাদিকতার কোর্সে ভর্তি হন। এই বিষয়টি পড়তে গিয়ে তিনি বেশ উৎসাহ পান, কেননা, তাঁর মনে হয়েছিল এই ক্ষেত্রে কাজ করলে তাঁর মনোবাঞ্ছা পূরণ হবে। আসলে তিনি চাইতেন এমন কাজ করতে যার মধ্যে অ্যাডভেঞ্চার থাকবে। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার পর তিনি These Days সংবাদপত্রে সাংবাদিক হিসেবে যোগ দেন। কিন্তু সামান্য কিছুদিন কাজ করার পর তিনি উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। কেননা, এখানে নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ ছিল না। এই সময় কাগজে Times Detective Agency-র বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে, যেখানে প্রাইভেট ডিটেকটিভ পদের জন্য ছেলে-মেয়ের আবেদনের সুযোগ ছিল। ভাবনা ফোন করে একদিন পৌঁছে যান সেই অফিসে। Times Detective Agency-র প্রধান ছিলেন প্রদীপ শর্মা। ভাবনার সাংবাদিকতা ডিগ্রি ও কাজের প্রতি উৎসাহ দেখে তাঁকে কাজে নিযুক্ত করেন।
তাঁর জীবনের প্রথম কাজ ছিল এক আইবি অফিসারের মেয়ের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। সঙ্গে আর একজন মহিলাকে নিয়ে তিনি সেলসগার্ল-এর ছদ্মবেশে তাদের বাড়ি যান। নিজেদের পরিচয়ের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে সেই বাড়ি যাওয়ার আগে এবং পরে আরও কিছু বাড়িতেও গিয়েছিলেন তাঁরা। মেয়েটি বাড়ি ছিল না। তার মায়ের সঙ্গে ভাবনারা কথা বলেন। জল খাওয়ার অছিলা করে কথা বলতে বলতে সেই মহিলার কাছ থেকে মেয়েটির সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেন। কিন্তু হঠাৎ করে মেয়েটির বাবা হাজির হন। তিনি তাদের সন্দেহ করেন। নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত আইবি অফিসার পরিচয় দিয়ে তাদের কাছে জানতে চান তারা কোথা থেকে এসেছে, কিংবা কে তাদের পাঠিয়েছে। ভাবনারা জানতেন না মেয়েটির বাবা একজন আইবি অফিসার ছিলেন। প্রথমটা একটু ঘাবড়ে গেলেও পরমুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তিনি পরিস্থিতি থেকে সফলভাবে বেরিয়ে আসেন। তাঁর কাজে প্রদীপ শর্মা খুশি হন। এরপর আর তাঁকে পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
Times Detective Agency-তে তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ কেস সমাধান করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছেন প্রদীপ শর্মার। গোয়েন্দাগিরির কোনও প্রথাগত কোর্স তাঁর ছিল না। প্রদীপ শর্মাই তাঁকে হাতেকলমে কাজ শেখান। তাঁদের কাজ ছিল মূলত প্রাক-বিবাহ ও বিবাহোত্তর বিষয়ের অনুসন্ধান। গোয়েন্দাগিরির কাজ সবসময়ই ঝুঁকির। কিন্তু তাঁর ছিল অদম্য সাহস। পাশাপাশি দুঃসাহসিক, বিপদে ভরা কাজ করতে তিনি ভালবাসতেন। কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় তাঁকে নানান ছদ্মবেশ ধারণ করতে হয়েছে। কখনও শিক্ষিকা সেজেছেন তো কখনও বাড়ির পরিচারিকা। এমনকী পুরুষেরও ছদ্মবেশ ধরতে হয়েছে বেশ কয়েকবার!

আরও পড়ুন-প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক ওষুধের নাম লিখতে ফের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজের কাজ সম্পর্কে তিনি প্রথমে বাড়িতে জানাননি। তিনি তাঁদের জানিয়েছিলেন ডিটেকটিভ এজেন্সিতে তিনি ডেস্ক জব করেন। কিন্তু হিন্দুস্থান টাইস-এ ছবি-সহ তাঁর খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দাদা জানতে পারেন। পরে বাড়ির লোক। তবে ইতিবাচক ব্যাপার এই যে, বাড়ি থেকে তিনি বাধা পাননি। উল্টে তাঁরা সাহস জুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
নিজে মহিলা হওয়ায় মহিলাদের সাহায্য করার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহ ছিল বেশি। তাই Tejas Detective Agency নামে তিনি নিজের গোয়েন্দা সংস্থা খোলেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন প্রদীপ শর্মা। এই সংস্থার মূল লক্ষ্য মহিলাদের সমস্যা নিয়ে অনুসন্ধান করা। তাঁদের প্রধান কাজ হল ব্যক্তিগত তথ্য অনুসন্ধান, প্রাক্-বিবাহ, বিবাহোত্তর তথ্য অনুসন্ধান, নিখোঁজ মানুষদের খোঁজা, অর্থনৈতিক তথ্য সংগ্রহ, কারও চাকরি সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ প্রভৃতি। বর্তমানে এই সংস্থায় ৯ জন মহিলা কর্মরত। নিজে মহিলা হওয়ায় এই সংস্থায় তিনি মহিলাদের নিযুক্ত করেছেন এবং তাঁদের হাতে কলমে কাজ শেখান।
নিজের সংস্থার প্রথম কাজ ছিল একটি মেয়ের অনুসন্ধান করা। ১৪ বছরের একটি মেয়েকে একটি ছেলে নিয়ে পালিয়ে যায়। তার বাবার অনুরোধে ভাবনারা অনুসন্ধান শুরু করেন এবং জানতে পারেন মেয়েটিকে ওড়িশা নিয়ে চলে গেছে। দল নিয়ে ওড়িশা যান তিনি। সেখানে ছদ্মবেশে অনুসন্ধান করার পর মেয়েটির খোঁজ পান। সেই সঙ্গে জানতে পারেন যে ছেলেটি তাকে নিয়ে এসেছে তার ভাই এখানকার গুন্ডা। মেয়েটিকে বিয়ের কথা বলে আনলেও আসল উদ্দেশ্য ছিল তাকে বিক্রি করা। মেয়ের সন্ধান দেওয়ার পর হিসাবমতো তাঁর কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটির বাবা তাঁকে অনুরোধ করেন মেয়েটিকে উদ্ধার করায় সাহায্য করতে। কাজটা ছিল বিপজ্জনক। কিন্তু ব্যতিক্রমী ভাবনার ভাবনা রাজি হন। স্থানীয় পুলিশ সাহায্য করতে রাজি হয় না। পরে দিল্লি পুলিশের সহায়তায় একেবারে ফিল্মি কায়দায় মেয়েটিকে উদ্ধার করেন তিনি। কাজটি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে যে কোনও সময়ে প্রাণসংশয় হতে পারত তাঁর। এইরকম দুঃসাহসিক কাজ তাঁর নিজের প্রতি আস্থা, ভরসা যেমন অনেকটাই বাড়িয়ে তোলে তেমনি মানুষদেরও তাঁর এবং তাঁর সংস্থার প্রতি ভরসা জন্মায়। বর্তমানে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছে এই গোয়েন্দা সংস্থাটি।
তাঁর এই কাজে ঝুঁকি অনেক। কিন্তু গল্প-উপন্যাসে পড়া ডিটেকটিভদের মতো আত্মরক্ষার জন্য তাঁর কাছে বন্দুক নেই। এমনিতে প্রাইভেট ডিটেকটিভের এই পেশাটি সরকারি স্বীকৃত নয়। সেখানে নিরাপত্তার জন্য সঙ্গে বন্দুক রাখার কথা ভাবাই যায় না। তাই তিনি সঙ্গে রাখেন চিলি স্প্রে যা বর্তমানে নারীদের আত্মরক্ষার কাজে বেশ সহায়ক। অতি সম্প্রতি ভারতীয় রেল দফতর নারী কনস্টেবলদের আত্মরক্ষার জন্য তাঁদের সঙ্গে চিলি স্প্রে সঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করেছেন। তবে ভাবনার আত্মরক্ষার সবচেয়ে বড় অস্ত্র হল তাঁর উপস্থিত বুদ্ধি ও দুর্জয় সাহস। তিনি মনে করেন এই কাজে যাঁরা আসবেন তাঁদের বুদ্ধি, সাহস যেমন থাকতে হবে তেমনি করে দরকার কাজের প্রতি নিষ্ঠা, সততা আর নিয়মানুবর্তিতা। আর সেটাই পাথেয় করে তিনি নিজেকে আজ বিশেষ উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। মানুষের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে উঠেছেন ‘মিস মার্পল অব দ্য ক্যাপিটাল’ শিরোনামে।
অতি-সাধারণ পরিবারের মেয়ে হয়েও জেদ, নিষ্ঠা আর অদম্য ইচ্ছায় গতানুগতিকতার বাইরে পথ হেঁটে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় গড়ে তুলেছেন ভাবনা পালিওয়াল। ‘মিস মার্পল অব দ্য ক্যাপিট্যাল’ শিরোনাম প্রাপ্তি তাঁর অনন্য দক্ষতার স্বাক্ষর বহন করে। এই সাফল্য কেবলমাত্র তাঁর ব্যক্তিগত কৃতিত্বের কাহিনি নয়। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়েও এই সাফল্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় তিনি নারীর ক্ষমতায়নের জয়গান গেয়েছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন নারীকে দুর্বল কিংবা কম বুদ্ধিমান ভাবা বোকামি। এমন কোনও কাজ নেই যা তাদের কাছে অসম্ভব। তারা ঝুঁকি নিতে পারে, কঠিন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষমতা তাদের আছে; তারা নেতৃত্ব দিতে পারে এবং সমাজ বদলের পথে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারে। ভাবনা পালিওয়াল আজ কেবল একটি নামমাত্র নয়, তিনি স্বপ্ন দেখার রূপকার, সাহস ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। এককথায়, ভাবনা পালিওয়াল এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা।
ভাবনার দেখানো পথ ধরে অনেকে এই পেশায় এসেছেন, অনেকে স্বপ্ন দেখছেন আসার। তাঁর মতো অনেক মহিলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই কাজে নিজেদের দক্ষতার ছাপ রেখে চলেছেন। তিনি চান আগামী দিনে আরও অনেক মহিলা এই পেশায় আসুন। নিজে মহিলা বলেই যে তিনি এমনটা চান তা কিন্তু নয়। তিনি মনে করেন গোয়েন্দাগিরির কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুরুষদের থেকে নারীরা অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারেন। পারিবারিক সমস্যা, প্রাক্-বিবাহ, বিবাহ-পরবর্তী তদন্ত কিংবা নিখোঁজ অনুসন্ধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে মানুষের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মিশে যখন তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করেন, মহিলা হওয়ায় অনেকেই তাঁদের গোয়েন্দা বলে সন্দেহ করেন না। ফলে তথ্য আহরণের কাজ অনেক সময় বেশ সহজ হয়। এসব ক্ষেত্রে নারীরা বেশি সংবদেনশীল ও বিচক্ষণ বলে প্রমাণিত হচ্ছেন।
ভাবনার উত্তরাধিকারীরা সমাজে সৎ, নির্ভীক নারীশক্তির প্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ভেদাভেদের বিভাজন রেখা মুছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, যেমনটা ভাবনা চান। তিনি চান কাজের প্রতি দক্ষতা ও নিষ্ঠাই এক-একজনের প্রকৃত পরিচয়।
ভাবনা পালিওয়াল দেখিয়ে দিয়েছেন যাঁদের মধ্যে স্বপ্ন দেখার সাহস আছে, ঝুঁকি নিতে যাঁরা ভয় পান না তাঁরাই নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারেন। তাঁর দেখানো পথ ধরে আগামী সময়ে অসংখ্য মহিলা এই পেশায় আসবেন যাঁরা শুধু অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন না, নিজেদের উপস্থাপিত করবেন সমাজ বদলের কান্ডারি হিসেবে।

Latest article