প্রতিবেদন : কোনও রহস্য নয়, মেয়েকে খুনই করা হয়েছে! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) নিহত পড়ুয়া অনামিকা মণ্ডলের বাবা-মায়ের এই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করে তদন্তে নেমেছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যান। ছিলেন ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রণব কুমার-সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তারা। যাদবপুরের ৪ নং গেটের কাছে যে ঝিলে ডুবে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, সেই ঝিলের ধারের গভীরতা মাপেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেনসিক আধিকারিকরা। কীভাবে ওই ছাত্রী ঘটনার রাতে পুকুরে পড়ে যান, সেটাই এখন তদন্তকারীদের প্রধান প্রশ্ন। কিন্তু ক্যাম্পাসে সিসিটিভির অভাব তদন্তের প্রতিপদে সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই নিহতের কয়েকজন সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) নিরাপত্তাকর্মীদের বয়ানের সঙ্গে সেই পড়ুয়াদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হয়। নিহত পড়ুয়াকে প্রথমবার উদ্ধার করে যাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁদের সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। যাদবপুরের যে বেসরকারি হাসপাতালে ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যে চিকিৎসক তাঁকে প্রথমবার দেখেন, তাঁর বয়ানও সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যাদবপুর থানায় যান নিহত ছাত্রীর বাবা-মা।
আরও পড়ুন- ঐক্যবদ্ধ বাংলাই ঐতিহ্য, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ডাক দিলেন শিল্পীরা