‘’সাধারণ মানুষ তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন’’, মহালয়াতে জনজোয়ার নিয়ে মুখ খুললেন দেবাংশু

এই মর্মে এদিন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ‘উৎসব বয়কটের' ডাক যারা দিয়েছিলেন, তাঁদের আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য।

Must read

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের পরেই মহালয়ার (Mahalaya) সন্ধ্যায় বিভিন্ন মণ্ডপে লক্ষ্য করা গেল জনজোয়ার। অবশেষে উৎসবে ফিরলেন মানুষ। এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। এই মর্মে এদিন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে ‘উৎসব বয়কটের’ ডাক যারা দিয়েছিলেন, তাঁদের আক্রমণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস আইটি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য। স্পষ্ট করেই জানালেন ‘উৎসবে ফিরছি না স্লোগানটা পিওর বাম সুলভ। বুধবার রাতেই শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী ভিড় উপচে পড়ল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। লেকটাউনের শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব এবং কল্যাণী আইটিআই মোড়ের লুমিনাস ক্লাবের মতো দুর্গাপুজোর মণ্ডপে অস্তামির সন্ধ্যার অনুরূপ ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এই দৃশ্য দেখে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যাঁরা ‘উৎসব বয়কটের’ ডাক দিয়েছিলেন, তাঁদের নিশানা করলেন দেবাংশু।

আরও পড়ুন-পৈশাচিক! ভুবনেশ্বরে ২ বছরের শিশুর সামনে মায়ের ‘গণধর্ষণ’

নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দেবাংশু লেখেন, ‘’শ্রীভূমি থেকে কল্যাণী আইটিআই; মহালয়ার দিন থেকেই মণ্ডপে-মণ্ডপে জনজোয়ার। যাঁরা উৎসব বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন, উৎসবে ফিরছি না বলে পিওর বাম সুলভ স্লোগান তুলেছিলেন, সাধারণ মানুষ তাঁদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছেন। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন গরিবের পেটে লাথি মেরে উৎসব বয়কট (করার বিষয়টি) কোনও সুস্থ মানসিকতার লক্ষণ নয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘’মুখ্যমন্ত্রী সেই গরিব মানুষদের জন্যেই বলেছিলেন উৎসবে আসুন.. বলেননি, বিচার ভুলে উৎসবে ফিরুন.. বাংলা আজ বুঝিয়ে দিয়েছে, আইনের কাছে, আদালতের কাছে বিচারের দাবি যেমন থাকবে, তেমনই থাকবে উৎসবের উদ্দীপনা। থাকবে, মাতৃ বন্দনাও। কোনও চক্রান্তেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ ইভেন্টকে বলিতে চড়তে দেওয়া যাবে না। জয় মা দুর্গা..।’’

আরও পড়ুন-হাসপাতালের মধ্যে গুলি করে ডাক্তার খু.ন, পলাতক দুই নাবালক

প্রসঙ্গত, তিরুপতি বালাজি মন্দিরের আদলে এবার প্যান্ডেল করেছে শ্রীভূমি। সেই সুসজ্জিত প্যান্ডেল দেখতে মহালয়ার সন্ধ্যায় মানুষের ঢল নামে। মধ্যরাত পর্যন্ত সেই ভিড় নিয়ন্ত্রণে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। কল্যাণীতে ভিড় সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয় উদ্যোক্তাদের।

Latest article