বুধবার রাত্রি দু’টো নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) দাসপুরের রসিকগঞ্জে ধূপকাঠির কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। নিমেষের মধ্যে জ্বলে যায় গোটা কারখানা। আগুনের কালো ধোঁয়া গ্রাস করে পুরো এলাকা। দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন আগুন নেভাতে পারে না। পাঁচটি মোটর পাম্প আনা হয়। পাম্প দিয়ে পুকুরের জল তুলে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পুকুরের জল শেষ হয়ে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। এই অবস্থায় নাইট গার্ড জানান, তিনি নিচে ছিলেন। আগুন জ্বলছে দেখে প্রাণ বাঁচাতে কারখানা জানলা ভেঙে ঝাঁপ মেরেছি।’
আরও পড়ুন-তৃণমূলের প্রচার-সৌজন্যে সারাবছর কাজ ঢাকিদের
জানান যাচ্ছে, অনেক বড় এলাকা জুড়ে কারখানাটি গড়ে উঠেছে। কারখানাটির মালিক দাসপুরের বাসিন্দা রাজকুমার দাস। এখানে প্রতিদিন প্রায় দেড় থেকে দু’হাজার মানুষ কাজ করে। রাত্রি দু’টো নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। খবর পেয়েই জানানো হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে প্রথমে আসে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুন নেভাতে পারে না তারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান খবর দেওয়ার অনেকক্ষণ পর দমকল এসেছে ততক্ষনে আগুনের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আরও চারটি ইঞ্জিন পরে সেখানে আসে। মোট ছটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। সকাল আটটা পর্যন্ত চলে আগুন নেভানোর কাজ।