সৌম্য সিংহ : লড়াইটা মোটেই কঠিন নয়, কিন্তু বেশ মজার। কলকাতা পুরসভার গত দু’টি নির্বাচনে যে সিপিএম প্রার্থী গোহারা হেরেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে, এবারে তিনিই জার্সি বদলে ফেলে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে লড়তে নেমেছেন ১১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। অনেকেই এর নেপথ্যে লাল-গেরুয়ার অশুভ গোপন আঁতাঁতের সম্ভাবনা খুঁজে পেলেও ব্যাপারটা নিয়ে কিন্তু আদৌ মাথা ঘামাতে রাজি নন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণা সিং।
আরও পড়ুন-ফিরহাদের অভিযোগ, বাধা দিচ্ছে কেন্দ্র, উড়ালপুলের লড়াই থাকছেই
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথ এবং আদর্শ অনুসরণ করে পরপর চারবার জনতার রায়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তারক সিং তনয়া। পানীয় জল, নিকাশি, আলো—সব সমস্যারই সমাধান করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। সেই কারণেই বি এল সাহা রোড, রায় বাহাদুর রোড, পশুপতি ভট্টাচার্য রোড, বামাচরণ রায় রোড-সহ বেহালা এবং লাগোয়া অঞ্চলের যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন কৃষ্ণা, পাচ্ছেন ইতিবাচক ফিডব্যাক। ‘‘জনতার শুভেচ্ছা নিয়ে আবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আমি গড়ে তুলতে চাই একটি অনাথ আশ্রম এবং অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বাসস্থান।’’
আরও পড়ুন-কলকাতা পুরশ্রী বিবর্ধন কথা
তাঁর অভিনব ভাবনার কথা নিজেই জানালেন কৃষ্ণা। তাঁর উদ্যোগেই আধুনিকীকরণের কাজ চলছে সিরিটি মহাশ্মশানের। আরও ৪টি চুল্লি বসছে। তিনটি বৈদ্যতিক চুল্লি। শ্মশানের সম্প্রসারণ, সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজায়ন হবে ১৩ কাঠা জায়গা জুড়ে। সাবেক কলকাতার অন্যতম আইকন বেহালা সখের বাজারের চণ্ডীমণ্ডপ প্রাঙ্গণ আত্মপ্রকাশ করেছে নতুন সাজে।
সংস্কার হয়েছে জলাশয় এবং নাটমন্দিরের। গড়ে উঠছে বৈষ্ণোদেবীর, রাজস্থানি ঘরানার মন্দির। এলাকায় রয়েছে বস্তি। শিশুদের হাতে বইখাতা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি খেলনাও উপহার দেন কৃষ্ণা। তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরের সাফল্যের তালিকা এখন গর্বের সঙ্গে পেশ করছেন এলাকার সাধারণ মানুষই।