সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল যেন ক্রমশ অন্ধকার কাটিয়ে আলোর পথে এগোচ্ছে। এই শিল্পাঞ্চলে ফের একটি রঙিন টিন তৈরির কারখানার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। কদিন আগেই কারখানাটি চালুও হয়েছে। চিমনি থেকে সাদা ধোঁয়া বেরোতে দেখা যাচ্ছে। এই অঞ্চলে কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা একটি কারখানায় বিনিয়োগ শুরু করে। ফলে কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বাজারহাট, দোকান-সহ সব কিছুই এগিয়ে চলেছে।
আরও পড়ুন-এবার আমরা তৈরি, হুঁশিয়ারি মিরাজের, চেন্নাইয়ে ভারত-বাংলাদেশ
এ বছর বিশ্বকর্মা পুজোও হবে রমরমিয়ে। বিধায়ক তন্ময় ঘোষ জানান, একটা সময় দ্বারিকায় পাঁচটি বড় ও চারটি মাঝারি মাপের কারখানা চালু হয়েছিল। ঝলমলে আলো, বিভিন্ন শিফটের প্রচুর কর্মীর আনাগোনায় গমগম করত এলাকা। দিনরাতের ফারাকটাই মুছে গিয়েছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে দক্ষিণ ভারতের মালিকরা তাঁদের কারখানার ঝাঁপ গুটিয়ে অন্যত্র চলে গেলে কর্মীরাও বেকার হয়ে পড়েন। অনেকেই বিকল্প কাজে যোগ দিলেও সবারই আশা ছিল, কারখানা আবার চালু হবে। দশ বছর পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসায় নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। কদিন আগে আর একটি কোম্পানি কারখানা চালু করায় পুরনো অনেক কর্মী কাজে লেগে পড়েছেন। প্রায় এক যুগ পর এবার বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে এখানে। শোনা যাচ্ছে, বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় রঙিন টিন উৎপাদনের একটি কারখানা আগেই চালু ছিল। তারাই পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাছ থেকে লিজে নিয়ে দ্বারিকার একটি নতুন ইউনিট গড়েছে। রাস্তার ধারে কারখানার কাজ প্রায় শেষের পথে।