প্রতিবেদন : পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বাকি টাকায় উন্নয়নমূলক কাজের পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলল রাজ্য সরকার। বর্তমান অর্থবর্ষ শেষ হতে আর বাকি রয়েছে তিন মাস। এই তিন মাস অর্থাৎ ৩১ মার্চের মধ্যেই সমস্ত কাজ শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নবান্নের তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের ২০০০ কোটি টাকা এখনও হাতে রয়েছে রাজ্যের। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই টাকায় উন্নয়নমূলক কাজ শেষ করতে হবে। কী কী উন্নয়নের কাজ হবে, তা ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত করে দিয়েছেন তিনি। প্রত্যেক জেলাকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি নবান্নে গিয়ে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক হয়, সেই বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় উন্নয়নের কাজ সেরে ফেলতে।
আরও পড়ুন-বাবলা-হত্যায় চিহ্নিত মূল পান্ডা পোস্টার দিয়ে মাথার দাম ঘােষণা
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের বাজেটে যে সকল পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল এবং বরাদ্দ করা হয়েছিল, তা মার্চের মধ্যে খরচ করতে হবে এবং কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে চড়া সুরেই নির্দেশ দেন, ৩১ মার্চের মধ্যে অনগোয়িং প্রকল্পগুলি শেষ করুন। কোনও অজুহাত আমি শুনব না। কাজই শেষ কথা। মনে রাখবেন, এটা জনগণের টাকা। সেই টাকায় জনগণের কাজই করতে হবে। ফলে কাজে গতি আনুন। অবিলম্বে কাজ শেষ করুন।
আরও পড়ুন-নাগপুরে বার্ড ফ্লু-য়ে মৃত্যু তিনটি বাঘ ও একটি চিতাবাঘের
তথ্য বলছে, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মোট ৫,১৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল রাজ্যের জন্য। সেই টাকার মধ্যে ৩২০০ কোটি টাকার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা অর্থমূল্যের কাজ। প্রতিটি জেলার কাজ পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী দেখেন আটটি জেলা এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে। সেই আট জেলা, যথাক্রমে— দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে কড়া নির্দেশ দেন তিনি। রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক অর্থ বরাদ্দ হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জন্য ৫৩০ কোটি টাকা। তারপর রয়েছে মুর্শিদাবাদ ৪৯৬ কোটি টাকা। কিন্তু এই দুই জেলাতেই সব থেকে কম কাজ হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় বরাদ্দকৃত ২৫২ কোটি টাকার কাজ বাকি রয়েছে। মুর্শিদাবাদে বাকি রয়েছে ২৩৭ কোটি টাকার কাজ। কাজের নিরিখে এক নম্বরে রয়েছে কোচবিহার জেলা। তারপর রয়েছে নদিয়া। দুই জেলাতেই ৭৮ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে পঞ্চায়েত দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাগুলির সঙ্গে বৈঠক করে কাজে গতি আনার এবং তা ৩১ মার্চের মধ্যে সম্পূর্ণ করার। জেলা প্রশাসনকেও আরও সক্রিয় হওয়ার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তার পরেই তৎপর হয়ে উঠেছে জেলা প্রশাসন।