সংবাদদাতা, দিঘা : অক্ষয়তৃতীয়ার শুভ লগ্নে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দুয়ার খোলার ঘোষণা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে যাবতীয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরে এলেন খোদ রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। বুধবার জগন্নাথ মন্দিরের ভিতরে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। যেখানে ডিজির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান এইচকে দ্বিবেদী। বেশ কয়েক ঘণ্টা চলে এই বৈঠক। জেলা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও ছিলেন বৈঠকে। মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি মন্দির তৈরির কাজ কোন পর্যায়ে তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন-বাংলার বাড়ির নামে কাটমানি বিজেপি নেতার
জানা গিয়েছে, অক্ষয়তৃতীয়ার আগের দিন অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল মন্দিরে বিগ্রহের প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে। সেদিন থেকেই চলবে হোমযজ্ঞ ও অনুষ্ঠান। কদিন আগেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের নিয়ে নবান্নে বৈঠকও করেন তিনি। যে বৈঠকে ছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান রাজেশ দৈত্যাপতিও। তিনিও সপ্তাহখানেক আগে জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শন করে গিয়েছেন। এবার পরিদর্শনে এলেন ডিজি-সহ প্রশাসন কর্তারা। প্রায় ২২ একর জমিতে গড়ে ওঠা মন্দিরের ভিতরের সমস্ত কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন ডিজি ও হিডকোর ভাইস চেয়ারম্যান। ভোগঘর থেকে সিংহদুয়ার, এমনকি অরুণ স্তম্ভ থেকে বিশ্রামকক্ষ ঘুরে দেখেন তাঁরা। বৈঠকের পর মন্দির থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত প্রস্তাবিত জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ি অর্থাৎ আদি জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনও করেন তাঁরা। সেখানেও ইতিমধ্যে ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার মূলত মন্দির এবং সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে যান তাঁরা। পর্যাপ্ত সিসিটিভির পাশাপাশি কোথায় কত পুলিশ থাকবে এবং কোথায় গাড়ি পার্কিং হবে সে ব্যাপারে বৈঠক হয়। এছাড়াও উদ্বোধন-পরবর্তী সময়ে দর্শনার্থীদের বাড়তি ভিড় কীভাবে মোকাবিলা করা হবে সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক অপূর্বকুমার বিশ্বাস জানান, আমাদের থেকে জগন্নাথ মন্দির এবং আশপাশের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিলেন আধিকারিকেরা। এছাড়াও উদ্বোধনের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হয়।