নয়াদিল্লি : ১৮ দিনের মধ্যে আটবার বিপত্তি। যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় অভিযোগের ওঠার পর এবার উড়ান সংস্থা স্পাইসজেটের (SpiceJet) বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করল ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (DGCA)। ডিজিসিএ’র নোটিশ জারির খবর ছড়িয়ে পড়তেই বুধবার স্পাইসজেটের শেয়ারের দাম ৭ শতাংশের মতো পড়ে যায়। ফলে সংস্থার শেয়ারের দাম চলতি বছরের সবচেয়ে নিচে নেমে আসে। এদিন স্পাইসজেটের শেয়ার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে ৫২-সপ্তাহের সর্বনিম্ন ৩৫ টাকায় নেমে আসে।
আরও পড়ুন: চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকেই দায়ী করলেন নিত্যযাত্রীরা, খোলা দরজা নিয়েই ছুটল মেট্রো
গত কয়েক সপ্তাহে স্পাইসজেটের (SpiceJet- DGCA) একাধিক উড়ান মাঝ আকাশে প্রযুক্তিগত ত্রুটির শিকার হয়েছে। প্রায় প্রতিটি উড়ানকে জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে। যদিও বড় কোনও দুর্ঘটনা ঘটেনি। ৫ জুলাই স্পাইসজেটের চিনগামী একটি পণ্যবাহী বিমান রেডারে ত্রুটির জন্য কলকাতায় ফিরে আসে। ওই দিনই দুবাইগামী একটি বিমান যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। তবে বিমানটিকে ১১ ঘণ্টা করাচিতে থাকতে হয়। একই সঙ্গে আমেদাবাদ থেকে মুম্বইগামী একটি বিমানের উইন্ডশিল্ডে চিড় ধরায় বিমানটি মুম্বই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। ২ জুলাই একটি বিমান জব্বলপুরে যাবার পথে দিল্লিতে ফিরে আসে। কারণ প্রায় ৫,০০০ ফুট উচ্চতায় কেবিনে ধোঁয়া দেখতে পান বিমানকর্মীরা। ২৪ জুন এবং ২৫ জুন উড়ানের সময় স্পাইসজেটের দুটি পৃথক বিমানে ফিউসলেজ দরজায় সতর্কতা আলো জ্বলে ওঠায় বিমান দুটি ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ১৯ জুন পাটনা বিমানবন্দর থেকে ১৮৫ জন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লিগামী একটি বিমান উড়ার পরই বিমানের ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। বাধ্য হয়ে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। ১৯ জুন জব্বলপুরগামী বিমানের কেবিনে বায়ুচাপের তারতম্য ঘটায় বিমানটিকে দিল্লিতে ফিরতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে লোকসানে চলছে এই সংস্থা। অনেকেই মনে করছেন, আর্থিক অভাবের কারণেই বিমানগুলির ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছে না স্পাইসজেট। আর তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়ছে যাত্রী-নিরাপত্তা।