প্রতিবেদন: বিরোধীদের ভয়ে তড়িঘড়ি গত শুক্রবার সংসদের বাজেট অধিবেশন মুলতুবি ঘোষণা করা হলেও রাজ্যসভার চেয়াম্যান জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার ব্যাপারে এককাট্টা বিরোধী শিবির৷ সামনে শীতকালীন অধিবেশনেই এই প্রস্তাব আনার প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু করে ফেলেছেন বিরোধীরা। কাজ অনেকটা এগিয়েও রাখছেন বিরোধী তৃণমূল-সহ বিরোধী নেতৃত্ব। শুক্রবার আচমকাই সরকার পক্ষ চলতি অধিবেশনে ইতি টেনে দেওয়ায় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নোটিশ জমা করতে পারেনি বিরোধী শিবির৷ সোমবার সংসদের টেবিল অফিসে বিরোধী শিবিরের ৯০ জন মতো সাংসদের স্বাক্ষরিত এই ইমপিচমেন্ট নোটিশ জমা করার কথা ছিল৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব তৈরি নিয়ে হোমওয়ার্ক সেরে ফেলার পরেও ইন্ডিয়া জোটকে এখন থমকে যেতে হচ্ছে, অপেক্ষা করতে হচ্ছে পরের অধিবেশনের জন্য।
আরও পড়ুন-চাকরির লোভ দেখিয়ে বিদেশে নিয়ে গিয়ে প্রতারণা ভারতীয়দের
এই পরিস্থিতিতে বিন্দুমাত্র দমছে না বিরোধী শিবির৷ রবিবার দিল্লিতে বিরোধী শিবির সূত্রে দাবি জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের শরিক বড় ২-৩টি দল রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনার সব কাজ এগিয়ে রাখছে৷ ইতিমধ্যেই প্রথাগত যাবতীয় কাজ কর্ম শেষ বলেও দাবি জানানো হয়েছে বিরোধী শিবির সূত্রে৷ এখন অপেক্ষা শুধু শীতকালীন অধিবেশনের৷ নভেম্বরের শেষে বা ডিসেম্বরের শুরুতেই শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম পর্বেই বিরোধী শিবিরের তরফে পেশ করা হবে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব, দাবি ইন্ডিয়া জোট সূত্রের৷ প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী যে কোনও অধিবেশনের শেষ দিন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকার আলাদা আলাদা করে চায়ের আসরে নিমন্ত্রণ করেন নিজের নিজের সভাকক্ষের বর্ষীয়ান সংসদীয় নেতাদের৷ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার ডাকে আয়োজিত চায়ের আসরে শুক্রবার মুখোমুখি হয়েছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ নয়াদিল্লিতে সংসদীয় সূত্রের দাবি, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় কিন্তু শুক্রবার অধিবেশনের শেষে কোনও চায়ের আসরের নিমন্ত্রণ জানাননি৷ ‘গোটা বিষয়টি মোদি সরকারের কার্যকালের একটি ব্যতিক্রমী অসৌজন্যমূলক রাজনৈতিক কার্যকলাপ’— অভিযোগ করা হচ্ছে বিরোধী শিবির সূত্রে৷ এই মর্মেই বিরোধী শিবির সূত্রের সংযোজন, ‘চেয়ারম্যান যেভাবে বিরোধী শিবিরের সাংসদদের ক্রমাগত অপমান করছেন, তাঁদের কার্যত গালাগাল করছেন, যেভাবে সরকারের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন, যে ধরনের ঔদ্ধত্য প্রকাশ করছেন, তা পুরোপুরি অসংসদীয় রীতি বহনকারী৷ এই কারণেই ওঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হচ্ছে৷’