প্রতিবেদন : মায়ের ভাষা। বাংলাভাষা (Bengali Language)। মাতৃভাষা। আর সেই ভাষার উপরেই দেশ জুড়ে ঘৃণা-বিদ্বেষের বিষ ছড়াচ্ছে বিজেপি। ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ক্রমাগত আক্রান্ত বাংলাভাষী শ্রমিকরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সেই অত্যাচারের প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে সারা বাংলা। ধর্মতলায় ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতার চলছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ।
সেনাকে সামনে রেখে বিজেপি মেয়ো রোডের প্রতিবাদ-মঞ্চ খুলে দেওয়ার পরই নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে নেমেছে দল। শুক্রবার শিক্ষক দিবসে সেই ধরনা কর্মসূচির দায়িত্বে ছিল রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। সংগঠনের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ভাষাসন্ত্রাস ও বিজেপির বাংলা-বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব মহিলা তৃণমূল। নিউবারাকপুর থেকে আসা মহিলা তৃণমূল কর্মীদের তাসা, কাঁসর-ঘণ্টার বাজনায় মুখরিত হল প্রতিবাদ মঞ্চ। বক্তব্যের মাধ্যমে বাংলাবিদ্বেষী বিজেপির স্বরূপ তুলে ধরলেন সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, ডাঃ শশী পাঁজা, সাংসদ মালা রায়, অর্পিতা ঘোষেরা। এছাড়াও ধরনায় ছিলেন প্রিয়দর্শিনী হাকিম, চৈতালি চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমি দাস-সহ শহর কলকাতা ও আশপাশের জেলাগুলির তৃণমূল মহিলা কর্মী-সমর্থকেরা। সভানেত্রী চন্দ্রিমা বলেন, শুধু বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর আক্রমণই নয়। ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি সরকারের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলার মানুষ এই অপমান মেনে নেবে না।
আরও পড়ুন- শিক্ষকহীন বঙ্গ-বিজেপি, অসভ্যতা রুখতে কড়া দাওয়াইয়ের পক্ষে স্পিকার, চিকিৎসা চলছে আহত মার্শালের
ডাঃ শশী পাঁজা এদিন বলেন, প্রত্যেকটা বিজেপি রাজ্যে বাংলাভাষায় (Bengali Language) কথা বললেই বাংলার শ্রমিকদের উপর অকথ্য অত্যাচার চলছে। হেনস্থা হচ্ছে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে, জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর কেবলমাত্র বাংলায় কথা বলার জন্য বাচ্চাদেরও ছাড়ছে না, মারধর করছে। সংবিধানের বিরুদ্ধাচারণ করে বিজেপি বলছে বাংলা বলে নাকি এদেশে কোনও ভাষা নেই, বাংলাদেশে আছে। অর্থাৎ আমি-আপনি সবাইকে রাতারাতি এই রাষ্ট্রের বাইরে বের করে দিতে চাইছে। এই হচ্ছে বিজেপি।
আবার সাংসদ মালা রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা বিভিন্ন রাজ্যের, বিভিন্ন ধর্মের, বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ শান্তির বাংলায় শান্তিতে থাকেন। যে যার নিজের মাতৃভাষায় কথা বলেন। কই এখানে তো কাউকে আক্রান্ত হতে হয় না! কারও আহার কেড়ে নেওয়া হয় না। বাংলায় এই সহাবস্থান থাকলে অন্য রাজ্যে আক্রমণ কেন? কারণ, বাংলার মানুষকে কোনওভাবেই বাগে আনতে পারছে না বিজেপি। রাজনৈতিকভাবে এঁটে উঠতে পারছে না তৃণমূলের সঙ্গেও। বিধানসভা ও লোকসভায় হারের পর তাই বাংলাকে নানাভাবে বঞ্চনা, অপমান, কলঙ্কিত করার চক্রান্ত শুরু করেছে।