প্রতিবেদন : কলকাতা লিগে দুর্বার গতিতে ছুটছে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি (DHFC)। বৃহস্পতিবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে আর্মি রেডকে হাফডজন গোলে উড়িয়ে দিয়ে আরও একবার লিগে জয়ের হ্যাটট্রিক করল ডায়মন্ড হারবার। সেই সঙ্গে গ্রুপ ‘এ’ থেকে শীর্ষস্থান আরও মজবুত করে সুপার সিক্স পাকা করে ফেলল তারা। ১০ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট ডায়মন্ড হারবারের। একছত্র আধিপত্য নিয়ে খেলে কিবু ভিকুনার দল জিতল ৬-০ গোলে। জোড়া গোল নরহরি শ্রেষ্ঠার। বাকি চার গোলদাতা আইমার আদম, জবি জাস্টিন, শেখ আরিয়ান ও লালসিয়েম কুকি।
খেলার প্রথম মিনিট থেকেই ম্যাচের রাশ ছিল ডায়মন্ড হারবারের (DHFC) হাতে। প্রতিপক্ষ সেনা দলকে কোনও সুযোগই দেয়নি কিবুর ছেলেরা। ১১ মিনিটে প্রথম গোল আইমারের। বিরতিতে ১-০ গোলেই এগিয়ে ছিল ডায়মন্ড হারবার। প্রথমার্ধেই যেটুকু লড়াই করেছিল আর্মি রেড। দ্বিতীয়ার্ধে ডায়মন্ড হারবারের লাগাতার আক্রমণের সামনে ভেঙে পড়ে আর্মির যাবতীয় প্রতিরোধ। জবি, নরহরিরা কার্যত গোলের সুনামিতে ভাসিয়ে দেন প্রতিপক্ষকে।
আরও পড়ুন- ইউটিউবে পা রেখেই রোনাল্ডোর রেকর্ড
৫৮ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় ডায়মন্ড হারবার। দলের দ্বিতীয় গোল জবির। পেনাল্টি থেকে গোল করেন কেরলের স্ট্রাইকার। কোচ কিবু পরিবর্ত নামিয়ে ডায়মন্ড হারবারের আক্রমণে আরও ঝাঁজ বাড়ানোর চেষ্টা করেন। নরহরি, আরিয়ান, লালসিয়েমদের নামান স্প্যানিশ কোচ। মাঝমাঠের দখল নিয়ে দুই উইং দিয়ে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনেন আইমার, জবিরা। ৬৭ মিনিটে তৃতীয় গোল ডায়মন্ড হারবারের। আরিয়ানের ক্রস থেকে গোল করেন নরহরি। ৭৫ মিনিটে আরও এক সুপারসাবের গোল। দলের চতুর্থ গোলটি করেন আরিয়ান। ম্যাচের সংযুক্ত সময়েও গোলের ঝড় থামেনি। জোড়া গোল শেষ লগ্নে। ৯২ মিনিটে পঞ্চম গোল লালসিয়েমের। ৯৪ মিনিটে ছ’নম্বর গোল করে আর্মির লজ্জা আরও বাড়ায় ডায়মন্ড হারবার। নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন নরহরি।
ক্লাব সচিব প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেরা এদিন দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে। বিশেষ করে নতুন তিনটি ছেলে আইমার, আরিয়ান, লালসিয়েম নজর কাড়ছে প্রতি ম্যাচেই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সুপার সিক্সে খেলতে চাই আমরা। তবেই খেতাব জয়ের সুযোগ বাড়বে। কারণ, গ্রুপের পয়েন্ট ধরা হবে চ্যাম্পিয়ন্সিপ রাউন্ডে।’’