প্রতিবেদন : আত্মপ্রকাশের মাত্র তিন বছরের মধ্যে ভারতীয় ফুটবলে নতুন শক্তি হিসেবে উত্থান ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের। আই লিগের তৃতীয় ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব (DHFC)। রবিবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে ফাইনালে মিজোরামের চানমারি এফসি-কে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম ট্রফি জিতল ডায়মন্ড হারবার। জয়সূচক গোল রাঘব গুপ্তার। প্লে-অফ রাউন্ডে অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন কিবু ভিকুনার দল। গ্রুপ সেরা হয়ে আগেই এই মরশুমে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ডায়মন্ড হারবার। এবার জাতীয় স্তরের খেতাব দিয়েই নিজেদের ট্রফি ক্যাবিনেট ভরানোর যাত্রা শুরু করল ডিএইচএফসি।
অল্প সময়ের মধ্যে সর্বভারতীয় ফুটবলে ঐতিহাসিক সাফল্য। উচ্ছ্বসিত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সাংসদ লিখেছেন, ‘‘এই মরশুমে ডিএইচএফসি-র ছেলেরা বিস্ময়কর পারফরম্যান্স করেছে। অবিশ্বাস্য কীর্তি। গোটা দলকে অভিনন্দন আই লিগ থ্রি চ্যাম্পিয়ন হয়ে আই লিগ টু-এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করার জন্য। আমাদের টিমকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করে যাওয়ার জন্য সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আমি হৃদয় থেকে ধন্যবাদ জানাই। ডায়মন্ড হারবার এফসি (DHFC) আশার আলো হয়ে উঠেছে এবং বহু তরুণ ফুটবলারকে অনুপ্রাণিত করেছে। দমদার হারবার।’’
আরও পড়ুন-
এক্সে অভিষেক আরও লিখেছেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার প্রতিটি ক্ষেত্রেই উৎকর্ষ সাধন করেছে। মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, ৭৫ হাজার প্রবীণ নাগরিককে বার্ধক্য পেনশন প্রদান, পরিকল্পনাহীন লকডাউনের সময় একদিনে ৫০ হাজার কোভিড পরীক্ষা করা, ৩ লক্ষের বেশি পরিবারকে খাওয়ানো বা এই বছর পুজোর উপহার বিতরণ। একজনকেও লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়নি। এখন খেলাধুলাতেও ডায়মন্ড হারবার সেই জায়গা অর্জন করল লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে। এটা যথার্থ ডায়মন্ড হারবার মডেলকেই প্রতিষ্ঠিত করছে। সামনে এবং আরও উপরে, আমাদের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’’
গত বছর আই লিগের তৃতীয় ডিভিশনে ভাল খেলেও গোল পার্থক্যে পিছিয়ে থাকায় অল্পের জন্য আই লিগ টু-এ খেলা হয়নি। এবার প্লে-অফে প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সেই ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। তবে শেষ কাজটা বাকি ছিল। ট্রফির লড়াইয়ে এদিন ফাইনালেও মিজোরামের চানমারির বিরুদ্ধে শুরু থেকে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রেখেই জিতল ডায়মন্ড হারবার। ম্যাচের ৩০ মিনিটে নরহরি শ্রেষ্ঠার পাস থেকে দুরন্ত গোল করেন রাঘব। গোটা ম্যাচে আর গোল না হলেও ফাইনালে বড় ব্যবধানে জিততে পারত ডায়মন্ড হারবার। নরহরি, আইমাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
ডায়মন্ড হারবার কোচ ও অধিনায়কের হাতে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি তুলে দেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেন ও দীপক মণ্ডল। চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের গলায় পদক পরিয়ে দেন ডায়মন্ড হারবার ক্লাবের সচিব তথা প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার শান্তি মজুমদারও। জানুয়ারিতে আই লিগ টু। তার আগে আই লিগ থ্রি চ্যাম্পিয়ন হয়ে ডায়মন্ড হারবারের লক্ষ্য এখন কলকাতা লিগ খেতাব ঘরে তোলা। আই লিগ জয়ী কোচ কিবু বললেন, ‘‘ফুটবলারদের জন্য প্রথম ট্রফি খুব
দরকার ছিল। টিমের সাফল্যে সবার অবদান রয়েছে।’’