প্রতিবেদন : ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাবের (DHFC) জন্য ঐতিহাসিক দিন। আই লিগের তৃতীয় ডিভিশনের প্লে-অফ পর্বে জয়ের হ্যাটট্রিক করে গ্রুপ শীর্ষে থেকে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব। বুধবার নৈহাটি স্টেডিয়ামে মণিপুরের কিনাউ লাইব্রেরি অ্যান্ড স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনকে (ক্লাসা) ২-০ গোলে হারাল ডায়মন্ড হারবার। দলের দুই গোলদাতা নরহরি শ্রেষ্ঠা ও সাইবরলং। আই লিগ থ্রি-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ ডায়মন্ড হারবারের। প্লে-অফের ‘এ’ ও ‘বি’ গ্রুপের সেরা দুই দলকে নিয়ে ফাইনাল ৬ অক্টোবর নৈহাটিতে।
গ্রুপ ‘এ’-তে টানা তিন ম্যাচ জিতে শীর্ষে থেকে আই লিগ টু-এ উত্তীর্ণ হওয়ায় খেলোয়াড়, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের অভিনন্দন জানিয়েছে ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। এই বছর ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলার একমাত্র ক্লাব হিসেবে আই লিগের দ্বিতীয় ডিভিশনে অংশ নেবে ডায়মন্ড হারবার। সূত্রের খবর, ক্লাবের কর্ণধার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও দারুণ খুশি এই সাফল্যে। দলকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- আজ শুরু মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপ, চাপমুক্ত ক্রিকেট চান হরমনপ্রীত
এদিন শুরু থেকে ক্লাসার বিরুদ্ধে সমানে সমানে টক্কর হলেও ম্যাচে ম্যাচে আধিপত্য নিয়ে খেলেছে ডায়মন্ড হারবার (DHFC)। ২২ মিনিটে পিন্টু মাহাতোর ক্রস থেকে জবির পাস খুঁজে নেয় নরহরিকে। বল জালে জড়াতে ভুল করেননি এই বাঙালি স্ট্রাইকার। খেলার শেষ লগ্নে ৮৪ মিনিটে একটি পেনাল্টিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। লাল কার্ড দেখেন ক্লাসার গোলকিপার ও এক ডিফেন্ডার। পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোল করেন সাইবর। ক্লাসা বাকি সময়টা ৯ জনে খেললেও গোলের ব্যবধান বাড়েনি ডায়মন্ড হারবারের।
ক্লাবের সচিব হিসেবে গর্বিত প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘গর্ব হচ্ছে এমন একটা দলের সঙ্গে শামিল হতে পেরে। মাত্র তিন বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেই ভারতীয় ফুটবলে ছাপ রেখেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। গ্রুপ সেরা তো হয়েছি। এবার আই লিগ থ্রি চ্যাম্পিয়ন হয়েই আই লিগ টু-এ খেলতে চাই। ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফদের সঙ্গে যারা ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি প্রত্যেকেই সম্মানিত এই সাফল্যে। বিশেষ করে আমি কৃতিত্ব দেব কোচ কিবু ভিকুনা ও সহকারী কোচ দেবরাজকে। ওরা শুধু ফুটবলারদের ফিট রাখেনি, রিজার্ভ বেঞ্চকেও তৈরি রেখেছে।’’ কিবুর সহকারী দেবরাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কোচ পরিকল্পনা করেন, কিন্তু ফুটবলাররা মাঠে তা ঠিকঠাক কাজে লাগিয়েছে বলেই সাফল্য এসেছে। কৃতিত্ব তাই ছেলেদের।’’