মানস দাস মালদহ: হংসগিরি লেন। ২২৪ বছরের পুরনো এই পতিতাপল্লির শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে অনেকটাই দূরে রয়েছে। এদের প্রত্যেকের বাবা-মা চান ছেলেমেয়েরা শিক্ষিত হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচুক। শিশুরা ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে তাদের মায়ের ব্যবসা। কিন্তু শিক্ষার আঙিনায় যাওয়ার ইচ্ছে থাকলেও সমাজের কু-কথার জন্যই তাদের স্কুলে আর ভর্তি করা হয়নি। অকপট স্বীকারোক্তি মালদহের হংসগিরি লেনের বাসিন্দাদের। আর এসব কথা কানে পৌঁছনো মাত্র তড়িঘড়ি হংসগিরি লেনে ছুটে গিয়েছেন মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস। কথা বলেছেন মা-বাবার সঙ্গে। আর এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক।
আরও পড়ুন-দুর্ঘটনায় আহত ১৮ ফুটবলার
হংসগিরি লেনের বাসিন্দাদের কথা দিয়েছেন তাঁদের ছেলেমেয়েরাও লিখবে, পড়বে, খেলবে। চাকরি করবে। মানুষের মতো মানুষ হবে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই কর্মসূচি তৈরি করে ফেলেছেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক। আগামী ৫ জানুয়ারি হংসগিরি লেনে একটি শিবির করবেন। ভর্তি হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যে কাগজপত্রের প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। আর এই বিষয়টি নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মালদহ জেলাশাসক নীতিন সিঙ্গানিয়া। শিক্ষা কর্তার এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মালদহ জেলার শিক্ষামহল। এ-বিষয়ে মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বাণীব্রত দাস জানান, হংসগিরি লেনে আমরা একটি প্রচার অভিযান চালাই। সেখানে সকল সমস্যার কথা উঠে আসে। আগামী ৫ জানুয়ারি আবার সেখানে গম্ভীরার মাধ্যমে প্রচার চালাব। প্রতিটি শিশুর মধ্যেই যেন শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে তার প্রচেষ্টা চলবেই।