অনির্বাণ দাস: এবারও হল না! একরাশ হতাশা নিয়েই রবিবার যুবভারতী ছাড়লেন লাল-হলুদ ভক্তরা। আইএসএলে প্রথমবার টানা তিন ম্যাচ জয়। বেঙ্গালুরু এফসিকে হারালে প্লে-অফের দিকে আরও একটা ধাপ এগিয়ে যাবে ইস্টবেঙ্গল। তাই প্রিয় দলের জয় দেখতে হাজির হয়েছিলেন প্রায় ১৮ হাজার সমর্থক।
মেসি বাউলির গোলে ১১ মিনিটেই এগিয়েও গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। মনে হচ্ছিল, যে কোনও মুহূর্তে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেবেন অস্কার ব্রুজোর ফুটবলাররা। কিন্তু তখনই ছন্দপতন। প্রথমার্ধের সংযুক্ত সময়ে অহেতুক মাথা গরম করে বেঙ্গালুরুর নোগুয়েরাকে ‘হেডবাট’ করে লাল কার্ড দেখলেন দিয়ামানতাকোস! ওখানেই জেতা ম্যাচ হাতছাড়া। গ্রিক স্ট্রাইকারকে অনেক আশা নিয়ে সই করানো হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশার সিকিভাগও পূরণ করতে পারেননি। এদিনও লাল কার্ড দেখে দলকে ডোবানোর পাশাপাশি একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন দিয়ামানতাকোস। আরও একবার নাওরেম মহেশের শট গোলে ঢুকলেও, গ্রিক স্ট্রাইকার অফসাইডে থাকার জন্য বাতিল হল।
আরও পড়ুন-আত্মতুষ্টির তত্ত্ব ওড়ালেন মোলিনা, আপুইয়াকে বিদ্রুপ মুম্বই দর্শকদের
দিয়ামানতাকোস লাল কার্ড দেখার আগেই অবশ্য আরও একটা ধাক্কা খেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ৩২ মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যান রক্ষণের বড় ভরসা আনোয়ার আলি। তিনি দু’সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছেন। ফলে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ও নর্থইস্ট ম্যাচে তিনি নেই। তাও দশজনের ইস্টবেঙ্গল দারুণ লড়ছিল। অনেকদিন পর রক্ষণে ভরসা দিচ্ছিলেন হেক্টর ইয়ুস্তে। কিন্তু ৯০ মিনিটে কর্নার থেকে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই হাতে বল লাগে নিশুকুমারের। পেনাল্টি থেকে ১-১ করে দেন সুনীল ছেত্রী। আর এই গোকেই শেষ লাল-হলুদের প্রথম ছয়ে থাকার স্বপ্ন। ২৩ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে আটেই আটকে রইল ইস্টবেঙ্গল। শেষ ম্যাচে নর্থইস্টকে হারালেও সুপার সিক্স হচ্ছে না।
অথচ প্রথমার্ধেই ম্যাচটা শেষ করে দিতে পারত অস্কারের দল। ১০ মিনিটেই পিভি বিষ্ণুকে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন দিয়ামানতাকোস। অবিশ্বাস্য ভাবে বাইরে মারেন বিষ্ণু। পরের মিনিটেই মেসির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিছুক্ষণ পরেই মেসির সাজানো বল একা বিপক্ষ গোলকিপারকে পেয়েও বারের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন বিষ্ণু। ক্ষমার অযোগ্য ভুল। এমনকী, বিরতির পর, দশজনে খেলেও অন্তত দু’বার গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। একবার সৌভিক চক্রবর্তীর দুরন্ত শট বাঁচিয়ে দেন গুরপ্রীত। আরও একবার গুরপ্রীতকে একা পেয়েও তাঁর গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন ডেভিড। এর একটা থেকে গোল হলেই হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে পারতেন লাল-হলুদ ভক্তরা!