প্রতিবেদন : প্রথমবার ডুরান্ড কাপ খেলতে নেমে চমক দিয়েই চলেছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। রবিবার কোয়ার্টার ফাইনালে প্রতিপক্ষ আইএসএলের দল জামশেদপুর এফসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাব। কিবু ভিকুনার দল জামশেদপুরকে হারাল তাদেরই ঘরের মাঠে। ইস্পাত নগরীতে এই জয় নিঃসন্দেহে বড় কৃতিত্ব। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক ডায়মন্ড হারবারের ডিফেন্ডার সাইরুয়াত কিমা।
চোটের কারণে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভেইরা ছিটকে গিয়েছিলেন আগেই। কার্ড সমস্যায় এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কিবুর দুই ডিফেন্ডার বিকাশ সিং ও মেলরয়। যদিও তাঁদের ছাড়াই দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ডায়মন্ড হারবার। বিকাশ ও মেলরয়ের অনুপস্থিতিতে রক্ষণকে দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিলেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মিকেল কোর্তাজার। বাকিরাও নিজেদের উজাড় করে দিলেন গোটা ম্যাচে। গোল না পেলেও, দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আরেক বিদেশি লুকা মাজসেনও।
আরও পড়ুন-সুনীলের জন্য দরজা খোলা
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলে তিন মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। লম্বা থ্রো করেছিলেন জবি জাস্টিন। সেই বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয় জামশেদপুর রক্ষণ। ফাঁকায় বল পেয়ে জালে জড়াতে ভুল করেননি কিমা। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়েছিল জামশেদপুর। কিন্তু জয়েশ রানে বার দুয়েক গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও কাজের কাজটি করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন জবি জাস্টিনও। তবে বিরতির আগেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফেলে ডায়মন্ড হারবার। এবারও গোলদাতা সেই কিমা। ৪১ মিনিটে জামশেদপুর রক্ষণের ভুলের সুযোগ তিনি নেন বল জালে জড়িয়ে।
জামেশদপুর যে দ্বিতীয়ার্ধে মরিয়া হয়ে আক্রমণে ঝাঁপাবে, সেটা জানতেন ডায়মন্ড হারবার কোচ কিবু। তাই শুরু থেকেই নিজের রক্ষণ আরও আঁটসাঁট করে দেন তিনি। ফলে জামশেদপুরের যাবতীয় আক্রমণ বিপক্ষ রক্ষণে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। এছাড়া ডায়মন্ড হারবারের তিন কাঠির নিচে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ান মিরশাদ মিচু। বেশ কয়েকটি দারুণ সেভ করেন তিনি।
গোল না পেয়ে মেজাজ হারাতে থাকেন জামশেদপুরের ফুটবলাররা। একাধিক হলুদ কার্ডও দেখেন। খেলার সংযুক্ত সময়ে জামশেদপুরের একটি গোল রেফারি বাতিলও করেন। শেষ পর্যন্ত জিতেই মাঠ ছাড়ে ডায়মন্ড হারবার।