বিলাসপুর : আবার প্রমাণিত হল যাত্রী সুরক্ষায় রেলের চরম ব্যর্থতা। ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে যাত্রিবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালগাড়ির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন অন্তত ১০ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে জানা গিয়েছে। রেলের দাবি, রেড সিগন্যাল উপেক্ষা করেছিলেন যাত্রিবাহী ট্রেনের চালক। ওই লাইনেই আগে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে সজোরে ধাক্কা মারে যাত্রিবাহী ট্রেনটি।
দুর্ঘটনায় এতজনের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনা ক্ষতিপূরণে মিলছে মাত্র ১ টাকা
এক্স-হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, বিলাসপুর-হাওড়া রুটে মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় আমি গভীর বেদনাহত। এই অপূরণীয় ক্ষতির মুহূর্তে শোকাহত পরিবারগুলির প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল লালখাদানের কাছে। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ। গেবরা রোড এবং বিলাসপুরের মাঝে এই লালাখাদান। গেবরা থেকে বিলাসপুর যাচ্ছিল যাত্রিবাহী ট্রেনটি। তবে বিলাসপুরের পুলিশ সুপার রজনীশ সিং জানিয়েছে, ঘটনায় অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আছেন দু’জন লোকোপাইলট। অন্তত ২ জন যাত্রী এখনও আটকে আছেন ভেতরে। তাঁদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বের করার চেষ্টা চলছে আটকে পড়া যাত্রীদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, লাইনে দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ঠিক এই সময়ই একটি যাত্রিবাহী ট্রেন চলে আসে ওই লাইনে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়িটিকে। সংঘর্ষের অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে মালগাড়ির উপরে উঠে পড়ে যাত্রিবাহী ট্রেনের একাংশ। দুমড়ে-মুচড়ে যায় প্রথম কামরাটি। লাইনচ্যুত হয় বেশ কয়েকটি বগি। ভয়ঙ্কর সংঘর্ষের আওয়াজ এবং যাত্রীদের আর্তচিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে প্রথমে ছুটে যান স্থানীয় মানুষ। উদ্ধারকাজ শুরু করে রেল, দমকল এবং পুলিশ। কীভাবে একই লাইনে দুটি ট্রেন চলে এল তা এখনও স্পষ্ট নয়। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তদন্তের। নিহতদের নিকটজনেদের ১০ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের ৫ লক্ষ টাকা, স্বল্প আহতদের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে রেল।