৪৪টি অঞ্চলে হবে কর্মসূচি, বাড়ি বাড়ি পৌঁছবেন দিদির দূতেরাও

আজ শুরু দিদির সুরক্ষা কবচ। প্রথম দিনের কর্মসূচি : কর্মসূচি : ৪৪টি অঞ্চলে * জেলা : মুর্শিদাবাদ (১০), নদিয়া (৫), হাওড়া (৮), হুগলি (৮), পূর্ব মেদিনীপুর (৭), পূর্ব বর্ধমান (৫) * সাংসদ : ৩ জন * বিধায়ক : ১৮ জন * সভাধিপতি : ৫ জন * বিশেষ : ৩ জন।

Must read

প্রতিবেদন : আজ বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach-TMC) কর্মসূচি। প্রথম দিন রাজ্যের চুয়াল্লিশটি জায়গায় এই কর্মসূচি পালিত হবে। এরপর ধাপে ধাপে দলের নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী গোটা বাংলা জুড়েই এই কর্মসূচি পালন করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক-সাংসদ-জেলা সভাপতি-জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা। প্রত্যেকেই গ্রামে গিয়ে এই কর্মসূচি পালন করবেন। গ্রামে দলীয় কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাবেন। একইসঙ্গে বাড়ি বাড়ি যাবেন ‘দিদির দূত’রা। রাজ্য সরকারের বাছাই করা ১৫টি জনকল্যাণমূলক প্রকল্পকে সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে। কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের প্রথম দিন যে চুয়াল্লিশটি জায়গায় যাবেন দিদির দূতেরা তার মধ্যে রয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার ১০টি, নদিয়ার ৫টি, হাওড়ার ৮টি, হুগলির ৮টি, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭টি এবং পূর্ব বর্ধমানের ৪টি জায়গা। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের ঠিক করে দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ের এই কর্মসূচিতে থাকবেন সব মিলিয়ে ১৮ বিধায়ক, ৩ সাংসদ, ৯ জেলা সভাপতি (১ জন মহিলা জেলা সভাপতি), ৭ জেলার চেয়ারম্যান, ৫ জেলা পরিষদের সভাধিপতি। এছাড়া স্পেশ্যাল ক্যাটেগরিতে ৩ নেতা হাজির থাকবেন।

আরও পড়ুন-বেঙ্গালুরুতে মেট্রোর পিলার ভেঙে প্রাণ হারালেন মা ও শিশু

প্রথম দিনের কর্মসূচিতে উল্লেখযোগ্য নাম হলেন, সাংসদ মহুয়া মৈত্র (নদিয়ার ভাণ্ডারখোলা), সাংসদ আবু তাহের খান (মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ১-এর আলুগ্রাম), সাংসদ খলিলুর রহমান (সুতি)। শাওনী সিংহরায় জেলা সভাপতি (বহরমপুরের কাপাসডাঙা), অসীমা পাত্র (হুগলির ধনিয়াখালি), অরিন্দম গুঁই জেলা সভাপতি (হুগলির উত্তরপাড়া, নবগ্রাম), মনোরঞ্জন ব্যাপারি (হুগলির বলাগড়), সমীর পাঁজা (হাওড়া, উদয়নারায়ণপুর), তরুণ মাইতি পূর্ব মেদিনীপুর (এগড়ার বারিদা), স্বপন দেবনাথ পূর্ব বর্ধমান (নাদনঘাট), কুণাল ঘোষ পূর্ব মেদিনীপুর (পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগর), বেচারাম মান্না (হুগলির সিঙ্গুরে)।

গত সপ্তাহে নজরুল মঞ্চে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দলের নেতা-নেত্রীদের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ (Didir Suraksha Kawach-TMC) ও ‘দিদির দূত’ এই গোটা কর্মসূচি ব্যাখ্যা করেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সকলকে বুকলেট দিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে এই কর্মসূচি কীভাবে বাস্তবায়িত করতে হবে এবং তার প্রত্যেকটি ধাপে কীভাবে এগোতে হবে তা বিস্তারিত লেখা রয়েছে। এরপর দলের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেকটি বিধানসভায় সাংবাদিক বৈঠকের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচিকে তুলে ধরা হয়। এবার বাস্তবায়নের পালা। আজ থেকেই দেশের মধ্যে যুগান্তকারী এক বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Latest article