শান্তনু বেরা, দিঘা: কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কালো হয়ে গেল সমুদ্রের জলের রং! শনিবার সকাল নয়টার পর থেকেই, স্বাভাবিক রং বদলে কাদা মিশ্রিত ঘোলাটে রূপ নেয় সমুদ্র। কেন এমন হল ?
আরও পড়ুন : বাইপাস-নিউটাউনকে জুড়তে শহরে ৭ কিলোমিটারের নয়া উড়ালপুল
সে নিয়ে দিঘা জুড়ে দিনভর শুরু হয়ে যায় জল্পনা। দীঘার সৈকতে প্রায় ১০ বছর ধরে ডাব বিক্রি করছেন মানস দাস। তিনি দিঘার স্থানীয় বাসিন্দাও বটে। এই ডাব ব্যবসায়ী জানান, “ বছর দুয়েক আগে হঠাৎ করে এভাবে একদিন সমুদ্রের জলের রং ঘোলাটে হয়ে গিয়েছিল। তারপর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই জলের রং স্বাভাবিক হয়ে যায়। দুই বছরের পর, ফের এমন ঘটনা দীঘায় আবার দেখলাম ।“
আরও পড়ুন : পাহাড়ে আধুনিক হাসপাতাল
রাত পোহালেই স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে ছুটি কাটাতে বহু পর্যটক এখন দীঘায় এসেছেন। তবে যেকোনো রকম অঘটন এড়াতে শনিবার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমুদ্র স্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। হঠাৎ করে এমন ঘটনায় পর্যটকমহলে রীতিমতো সাড়া পড়ে যায়। বহু পর্যটক সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমান। অবশ্য নুলিয়া ও পুলিশ সৈকত থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেন । আবার জামাকাপড় কাদা হয়ে যাওয়ার ভয়ে এদিন অনেক পর্যটক সমুদ্র স্নানে নামেননি। নদীয়া থেকে আসা চন্দ্রশেখর পণ্ডা বলেন, “আগে বহুবার দীঘা এসেছি। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখি নি। জলের রং পরিবর্তনটা খুব চোখে লাগছে। জামা কাপড় কাদা হয়ে যাওয়ার ভয়ে সমুদ্রে নামলাম না।“দিঘার সমুদ্রের জল এভাবে হঠাৎ ঘোলাটে হয়ে যাওয়ার কারন কি ? সমুদ্রের আবহাওয়া নিয়ে গবেষণা করা মীনাক্ষী চট্টোপাধ্যায় জানান, “ সমুদ্রের জলে বালি ও কাদার পরিমাণ বেড়েছে। অর্থাৎ সেডিমেন্ট লোড বেড়েছে। বিভিন্ন নদী থেকে যে কাদা বালি আসে, তা সমুদ্রের তলদেশে বসে যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা থিতু হচ্ছে না। তাই জলের রং এমন ঘোলাটে দেখাচ্ছে।“আবার, সমুদ্র বিশেষজ্ঞ প্রসাদ চন্দ্র টুডু বলেন, ‘বন্যার জল বিভিন্নভাবে সমুদ্রের সঙ্গে বেশি করে মিশে গেছে। ফলে এমন রং পরিবর্তন হচ্ছে। সমুদ্রের জলে দূষণের ফলেও এমনভাবে জলের রং পরিবর্তন হতে পারে।’