ইস্টবেঙ্গলে ক্লাব বনাম লগ্নিকারী বিতর্কে বুধবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল লেসলি ক্লডিয়াস সরণি চত্বরে। সমর্থক বিক্ষোভের তুমুল অশান্তির আঁচ ছড়িয়ে পড়ে রাজনীতির ময়দানেও। ইস্টবেঙ্গল ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দেন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
শতবর্ষ পুরনো ক্লাবের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের কটাক্ষ করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ভরসা করেই আজ তাদের এই দুর্দশা। ক্লাবকে আইএসএলে খেলিয়ে দেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন। তাদের হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন। একটি কোম্পানির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মৌ-চুক্তি করতে বাধ্য করেছিলেন। হতে পারে তখন সামনে নির্বাচন ছিল। তাই নবান্নে নিয়ে গিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করিয়েছিলেন। সেই এগ্রিমেন্ট আজ ডেথ ওয়ারেন্টে পরিণত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থেকেই এই কাজ করেছেন’।
আরও পড়ুন-শুরুর আগেই ছাঁটাই অলিম্পিকে
দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বৃহস্পতিবার সকালে টুইটারে লেখেন,‘ইস্টবেঙ্গল নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আপনাদের নেতা কৈলাশবাবু (বিজয়বর্গীয়) মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলকে ডেকে কেন্দ্রের ক্রীড়া দফতরে কথা বলে আইএসএল খেলানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মনে পড়ে? কিসসু করেননি। গতবার ইস্টবেঙ্গলের পাশে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন ইস্টবেঙ্গলের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সুযোগ নিয়ে আপনি রাজনৈতিক ডায়লগবাজি চালাচ্ছেন?’
কুণাল ঘোষের বক্তব্য খুব স্পষ্ট, তখন দুই প্রধানের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কিছু করতে পারেননি। পরে মোহনবাগান পেরেছে এটিকের সঙ্গে সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে আইএসএল খেলতে। ইস্টবেঙ্গল পারেনি বলেই তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা নিয়ে অহেতুক রাজনৈতিক জলঘোলা হওয়াতেই বিরক্ত কুণাল।
আরও পড়ুন-রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড শান্তনু সেন, প্রতিবাদে সরব কুণাল
এদিকে শুক্রবার বিকেলে চুক্তিজট নিয়ে আলোচনা করতে ইস্টবেঙ্গল তাঁবুতে ফের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হল। ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, সুকুমার সমাজপতি, চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ক্লাবে এসে চুক্তিপত্র দেখতে পারেন। সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় চুক্তিপত্র দেখেছেন। শুক্রবার তাঁর মতামত জানাবেন।