”কূটনৈতিক ব্যর্থতা!” দিল্লি যাওয়ার আগে অভিষেকের নিশানায় প্রধানমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার, জোটের বৈঠকে দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়

Must read

বৃহস্পতিবার, জোটের বৈঠকে দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ভোটের বাকি এখনও অনেক দিন কিন্তু তার আগেই কমিশনের অতিসংক্রিয়তা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তুললেন অভিষেক। তিনি স্পষ্ট জানান, ”ইলেকশন কমিশন যে কাজ করছে সেটা এক্তিয়ার বহির্ভূত। কমিশনের ক্ষমতা বা দায়িত্ব তখনই হয় যখন মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট ঘোষণা হয়। তারপর কমিশন রাজ্যের সার্বিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিজের হাতে নিয়ে তাদের মত চালায় যাতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হয়। কিন্তু একটা নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেবে না বলে, বিজেপিকে বাড়তি সুযোগ করে দেবে বলে এই আচরণ একেবারেই অনৈতিক। বাংলার প্রতি ধারাবাহিকভাবে কেন্দ্রের বঞ্চনা, নিজেদের সুবিধায় বিচারব্যবস্থাকে কাজে লাগানো, , সংবাদ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সন্দেশখালির মত ঘটনাকে সারা দেশে প্রচার করে বাংলাকে বদনাম করা এগুলো তো আছেই। এবার বাংলা ভাষাকে অপমান করে বাঙালিদের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে ইলেকশন কমিশন নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে। ইলেকশন কমিশনকে বুঝতে হবে তাদের ভূমিকা নিরপেক্ষ হতে হবে। তারা রাজ্যকে জানাতে পারে। যে সরকারকে মানুষ নির্বাচিত করেছে, সেই সরকার জবাবদিহি করবে ১২ কোটি মানুষের কাছে। আমরা বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। কিন্তু কেন্দ্র প্রভাব খাটিয়ে বাংলার ক্ষতি করছে। যে ভাবে আরজিকর নিয়ে বদনাম করা হয়েছে দেশজুড়ে সেটা একেবারেই বাঞ্চনীয় নয়। কিন্তু পরবর্তীকালে কলকাতা পুলিশ ২৪ ঘন্টায় যে কাজ করেছে তার বাইরে সিবিআই কিছু করতে পারে নি। যারা রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বাংলাকে ছোট করছে তারা তার জবাব পেয়েছে, আগামী দিনেও শিক্ষা পাবে। ভুল থেকে মানুষ শিক্ষা নেয় কিন্তু বিজেপি নেয়নি। বাংলায় যে পানীয় জলের কাজ চলছে সব বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। মানুষ জল ছাড়া বাঁচবে কি করে? ১০০ দিনের কাজ, জিএসটি ছাড়াও এবার পানীয় জলের টাকাও কেন্দ্র দিচ্ছে না”

আরও পড়ুন-আবাসের বাড়ি পেয়েছেন পদ্মশ্রী পাওয়ার আগেই, ১৬ সালে দুখু মাঝিকে নিয়ে গদ্দারের মিথ্যাচার

এরপরেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রাম্পের সখ্যতার মাঝেই ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপকে মোদি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতা বলে আখ্যা দেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ”আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছেন? ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেছিলেন কে? ট্রাম্প গুজরাটে এসে কার জন্য প্রচার করেছিলেন? যাদের ছবি আছে ট্রাম্পের সাথে তাদের এই প্রশ্ন করুন। যারা টেক্সাসে প্রচারে নেমেছিল তাদের করুন। এই শুল্ক বাড়ার ফলে তিনটে সেক্টরে গুরুতর প্রভাব পড়তে চলেছে। আইটি, ফার্মাসিরইউটিক্যাল টেক্সটাইল সংক্রান্ত সেক্টরে প্রভাব পড়বে। যে সরকার ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতির কথা বলতো তারা ক্ষমতায় থাকার পরেও তাদের বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে দিয়েছে সবাই। যারা ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করেছিলেন তাদের এর দায়ভার নিতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাম্পকে ডেকে আনেন নি বা তার হয়ে প্রচার করতেও যান নি। এর ফলে বেকারত্ব বাড়বে আর এই সবকিছুর জন্য দায়ী ভারতের পররাষ্ট্র নীতি। পহেলগাঁও ঘটনায় গোটা দেশ ওনার পাশে আছেন কিন্তু যতক্ষন না আপনি POK ফেরত চাইছেন এই ঘটনা ঘটতেই থাকবে। এটা একবারে শেষ হওয়া দরকার। পাকিস্তানকে তাদের ভাষায় জবাব দিতে হবে।”

আরও পড়ুন-শিলিগুড়িতে নয়া বাস টার্মিনাস

প্রসঙ্গত, আমদানি-রফতানির বাণিজ্যে বিরাট প্রভাব পড়তে চলেছে কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ ভারতের উপরে শুল্ক দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভারতের বেশ কিছু ক্ষেত্রে এই শুল্কের প্রভাব পড়তে চলেছে, যেমন চামড়া, কেমিক্যাল, গ্রহরত্ন, গহনা, জামাকাপড়, জুতো এবং চিংড়ি। আমেরিকায় ভারতীয় পণ্যের একটা বড় বাজার রয়েছে তাই লেদার বা চামড়া থেকে শুরু করে গ্রহরত্ন, জামাকাপড়, জুতো- অনেক কিছুই বিপুল পরিমাণে ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানি করা হয়। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অতিরিক্ত শুল্ক বসালে তাঁর দেশের মানুষ ভারতীয় পণ্যের বদলে সস্তায় আমেরিকান পণ্য কিনবে। এছাড়া অতিরিক্ত শুল্কের ভয় দেখিয়ে ভারতকে তাদের শুল্ক কমাতে বাধ্য করা যাবে।

Latest article