সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে ফোন ৩৬ দিনমজুরের কর্মসংস্থান

সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে ফোন করতেই হল সমাধান। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা।

Must read

সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি : কৃষক বাজারে মিলছে না কাজ! সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-তে ফোন করতেই হল সমাধান। মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতেই শিলিগুড়ির প্রশাসনিক সভা থেকে ঘোষণা ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। সেই টাকাতেই ধূপগুড়ি কৃষক বাজারে হতে চলেছে অত্যাধুনিক অনিয়ন হাব। ধূপগুড়ির ঝুমুরের কাছে জাতীয় সড়কের ধারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিন বিঘা জমির উপর তৈরি করে কৃষক বাজার। যেখানে রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, ৫টি শৌচালয়, উচ্চক্ষমতাবিশিষ্ট একাধিক সোলার পথবাতি। কৃষকদের জন্য বড় বড় শেড। ফসল মজুত করবার জন্য গুদামঘর-সহ হয়েছে ২৬টি দোকান।

আরও পড়ুন-বিমান টেকঅফ ও ল্যান্ডিংয়ের সময় জানলা বন্ধ রাখতে হবে যাত্রীদের

জানা যায়, প্রাথমিক অবস্থায় এই জায়গাতেই শুরু হয় সরকারিভাবে ধান কেনাবেচার কাজ। ধানের বস্তা ওঠানো-নামানোর জন্য কর্মসংস্থান হয় এলাকার ৩৬ জন দিনমজুরের। স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছু বছর এই ধান কেনাকাটার কাজ চলার পর ধান ব্যবসায়ীদের অনুরোধে স্থগিত হয়ে যায় কাজ। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সমস্যার সম্মুখীন হন ঝুমুর এলাকার দিনমজুররা। স্থানীয় বাসিন্দা দিনমজুর হামিদুল হক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী-র নম্বরে ফোন করে জানান সবটা। ঠিক এর দু’মাসের মধ্যেই শিলিগুড়ির হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে আয়োজিত প্রশাসনিক সভা থেকে ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে জানান, ধূপগুড়ি কৃষক বাজারের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। উল্লেখ্য, স্বয়ংক্রিয় মেশিনের মাধ্যমে এই অনিয়ন হাব থেকে হবে ভাল-খারাপ পেঁয়াজের বাছাই, খোসা ছাড়ানো-সহ, ছোট-বড় পেঁয়াজ ভাগ করে তা বস্তায় ভরে সেলাই করা। আর এই সবটাই হবে কোনও মানুষের সাহায্য ছাড়া স্বয়ংক্রিয় মেশিন দিয়েই। এই জায়গায় বিভিন্ন বিভাগে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জনের। ব্যবসা থেকে শুরু করে এলাকার অর্থনীতি সম্পূর্ণ বদলে যেতে চলেছে এই এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে এই সুবিধা পেয়ে খুশি হামিদুল, বাবলুরা।

Latest article