মুর্শিদাবাদ থেকে বাংলাদেশের জলপথে সরাসরি বাণিজ্য

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় জলপথ নম্বর ৫ এবং ৬-র মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে ভারতের ময়া এবং বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ।

Must read

কমল মজুমদার, জঙ্গিপুর: রাজ্য সরকারের লাগাতার চাপের জেরে ভারত-বাংলাদেশে জলপথ বাণিজ্য এবার আরও সুগম হতে চলেছে। সোমবার মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা ব্লকের ময়া এলাকায় পদ্মানদীর ধারে নতুন নদীবন্দরের উদ্বোধন হবে। করবেন কেন্দ্রের জাহাজ এবং বন্দর দফতরের প্রতিমন্ত্রী। এটি চালু হয়ে গেলে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে মালবাহী জাহাজ সরাসরি বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জের নদীবন্দরে পৌঁছে যাবে।

আরও পড়ুন-হস্তশিল্পী ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আয় বাড়াতে উদ্যোগ রাজ্যের, জেলায় জেলায় এবার গ্রামীণ মেলা

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় জলপথ নম্বর ৫ এবং ৬-র মাধ্যমে সংযুক্ত হয়েছে ভারতের ময়া এবং বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জ। মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত থাকলেও এতদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে মুর্শিদাবাদ দিয়ে সরাসরি বাণিজ্যের কোনও পথ ছিল না। বনগাঁ সীমান্ত বা মালদার মহদিপুর দিয়ে আমদানি-রফতানি হত। এই নদীবন্দর চালু হলে জেলার অর্থনীতি মজবুত হবে। খাদ্যদ্রব্য, পাথর প্রভৃতি একাধিক পণ্য বাংলাদেশে পাঠানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈধ রাজস্ব দিয়ে ব্যবসার সুযোগ হওয়ায় সরকারের উপার্জনও বাড়বে। ময়াতে দুটি বেসরকারি কোম্পানি প্রায় ৬০ বিঘা জায়গার উপর পদ্মানদীর ধারে দুটি নদীবন্দর তৈরি করেছে। বন্দরে মালপত্র ওঠানো-নামানো এবং পরিবহণের জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরে যাতে সহজেই মালপত্র নিয়ে যাওয়া যায়, তাই লালগোলায় রাস্তাঘাটেরও সংস্কার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, নদী বন্দর পুরোদমে কাজ শুরু করলে বছরে প্রায় ২.৬ মিলিয়ন টন মাল জলপথে মুর্শিদাবাদ থেকে সরাসরি বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে।

Latest article