না ফেরার দেশে পরিচালক অরুণ রায় (Director Arun Roy)। প্রায় ৮ দিনের লড়াই শেষ। ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। আইসিইউতে বাইপ্যাপ ব্যবস্থার সাহায্যে রাখা হয়েছিল। গত কয়েক দিনে অবস্থার আরও অবনতি হয়। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। শেষের দিকে কোমায় চলে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বেশ কয়েক বছর ধরেই কণ্ঠনালীর ক্যানসারে আক্রান্ত অরুণ রায়। এর আগেও চিকিৎসা চলেছে তাঁর। এমনকি বাঘাযতীনের শুটিংয়ের সময়ও বেশ অসুস্থ ছিলেন তিনি। যদিও সে সময় সমস্ত প্রতিকূলতা জয় করে টানা শুটিং চালিয়ে যান পরিচালক। তবে সম্প্রতি আরও অবস্থার অবনতি হয় তার।
আগেই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন কেমোথেরাপির প্রয়োজন অরুণ রায়ের (Director Arun Roy)। তবে তাঁর যা শারীরিক অবস্থা ছিল তাতে কেমোথেরাপি দেওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে ধন্দ ছিল। চিকিৎসা চলাকালীনই তিনি হাজির হয়েছিলেন ‘বাঘাযতীন’-এর টিজার লঞ্চে। গত বছর পুজোতেই মুক্তি পায় ছবিটি। পরের দিকে কোনও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। স্বাভাবিকভাবেই বাংলা সিনেমার এক খ্যাতনামা পরিচালককে হারিয়ে শোকস্তব্ধ কলাকুশলীরা।
আরও পড়ুন- অনুপ্রবেশে সাহায্য বিএসএফ-এর একাংশের, কেন্দ্রকে চিঠি লিখবেন মুখ্যমন্ত্রী
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, “অরুণ রায়ের ‘এগারো’ থেকে ‘বাঘা যতীন’—এক দশকের মধ্যে তাঁর নির্মিত প্রতিটি ছবি আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। আজ সকালে, ক্যানসারের দীর্ঘ লড়াইয়ে তাঁর হার হলেও ..তাঁর সিনেমাগুলোই তাঁর প্রকৃত জয় হয়ে থেকে যাবে..অরুনের পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা ।” পরিচালকের অসুস্থতার খবর শুনেই তাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন দেব, জীতু কমল।
সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দেব প্রয়াত পরিচালকের সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেন ৷ ক্যাপশনে লেখেন, “অনেক তাড়াতাড়ি হয়ে গেল বন্ধু ৷ ২৪ ক্যারেট গোল্ড ৷”
রুক্মিণী মৈত্র লেখেন, “আমি তোমাকে সবসময় ভালোবাসব হিরো ৷ আর তুমি হিরোর মতোই লড়াই করেছ ৷ সব কটা কথা রাখব অরুণ দা৷ প্রমিস ৷ তোমার একমাত্র হিরোইন ৷ ওকে ৷ সত্যি বলি, না ছেড়েই গেলে পারতে ৷ আই লাভ ইউ ৷” পরিচালক অরিন্দম শীলও পরিচালক অরুণ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।