প্রতিবেদন : টেকনিশিয়ানদের কোনও সম্মান দেয় না পরিচালকদের গিল্ড। শুক্রবার থেকে ডাকা কর্মবিরতি নিয়ে এই ভাষাতেই পরিচালকদের তোপ দাগলেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)। রীতিমতো তথ্য তুলে ধরে তিনি জানিয়ে দিলেন পরিচালকদের ডাকা কর্মবিরতির কোনও প্রভাব পড়েনি টলিপাড়ায়। দু’একটি ক্ষেত্রে বাদ দিলে প্রায় সব কাজই চলছে নিয়ম মেনে। এই আবহে এদিন সন্ধেয় পরিচালক ও ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ইন্দ্রনীল সেন। সেখানেই সমাধান সূত্র মিলবে বলে আশায় টলিউড। বৃহস্পতিবার রাতে প্রায় একতরফাভাবে শুক্রবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন পরিচালকরা। এরপরই এদিন সকালে পরিচালকদের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস (Swarup Biswas)। বলেন, ফেডারেশনের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন পরিচালকেরা। কর্মবিরতি হলে ছবি ও ধারাবাহিকের কাজ ব্যাহত হয়। কিন্তু পরিচালকদের ডাকে কোনও প্রভাবই পড়েনি টলিপাড়ায়। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে অধিকাংশ ধারাবাহিকের নিয়মমাফিক শ্যুটিং শুরু হয়েছে। বেশ কিছু ছবির শ্যুটিংও চলছে। ফলে পরিচালকদের ডাকা কর্মবিরতি যে ডাহা ফ্লপ তা পরিষ্কার। পরিচালকদের নিয়ে তিনি বলেন, ওরা আমাদের কাজের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কিন্তু তাঁদেরও নিজেদের কাজের এক্তিয়ার বোঝা উচিত। ২৮টি গিল্ডকে নিয়েই ফেডারেশন। এর মধ্যে একটি ডিরেক্টর্স গিল্ড। আমরা যে কোনও সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কিছু না জানিয়েই একতরফা কর্মবিরতির ঘোষণা করা হল। আমরা সব সময়ই কর্মবিরতির বিপক্ষে। এর আগে গত বছর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই কর্মবিরতি উঠেছিল। সরকারি তরফে সারা বছর শিল্পীরা অনেক ধরনের সুবিধা পান। ফেডারেশন লেবার অ্যাক্ট খুব ভাল করে জানে। কলাকুশলীদের কীভাবে সুরক্ষা দিতে হয় তাও জানে। আগে ১৮-১৯ ঘন্টা কাজ হত। ফেডারেশন লড়াই করে সেটা ১৪ ঘন্টা করেছে। ফেডারেশনে ৮ হাজারের বেশি সদস্য আছে। যাঁরা ফেডারেশনকে চ্যালেঞ্জ করছেন তাঁরা ৮ হাজার প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ করছেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যের নিয়োগের হলফনামা, জোর সওয়াল এজির, সিপিএমের বিকাশের বাধায় ফের আটকে গেল চাকরি