প্রতিবেদন : অবশেষে ঝুলি থেকে বেড়াল বেরল। কাজে ফেরার ইচ্ছে থাকলেও চিকিৎসকদের একাংশের জন্য ইচ্ছুকরা পরিষেবা দিতে পারছেন না। এবার নিজেদের মধ্যেই শুরু হল দ্বন্দ্ব। তবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের পিজিটিরা কাজে ফিরছেন বলে জানিয়ে দিলেন। শুধু এনআরএস নয়, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ এদিন সকাল থেকেই কাজে ফেরার তোড়জোড় শুরু করে। তবে চক্রান্তকারী চিকিৎসকদের একাংশ থেকে বাধা পেয়ে অধ্যক্ষ এবং উপাধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। সাফ জানিয়ে দেন, তাঁরা ইনডোর পরিষেবা দেওয়া শুরু করছেন।
আরও পড়ুন-বৃষ্টি মাথায় পুজো উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী, আজ জেলার ৪০০
সুপ্রিম কোর্ট, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বাস্থ্যসচিব— সকলেই কাজে ফেরার আহ্বান করেছিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। এদিকে বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্টে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এই মামলার শুনানির আবেদন করা হয়েছে। ন্যায়বিচার চেয়েই চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গরিব মানুষদের হয়রানি কমানোর আবেদন মুখ্যমন্ত্রী বারবার করেছেন। চিকিৎসকদের যাবতীয় দাবি মেনে নেওয়ার পরেও কিন্তু নিজেদের জেদে অনড় ছিলেন তাঁরা। তবে এবার পেশার তাগিদে ভিত্তিহীন জেদ থেকে সরে এসে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানালেন একদল চিকিৎসক। ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি ও ইন্টার্নরা। বৃহস্পতিবার ২৭টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়রদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন সিনিয়র রেসিডেন্ট ও অধ্যাপকরা। যেই সিনিয়র চিকিৎসকরা এতদিন বলেছিলেন আন্দোলন চলবে, এখন তাঁরাই কাজে ফেরার কথা বলছেন। পরিষেবা না দিয়ে অহেতুক আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত যে একেবারেই অমূলক সেই কথা অবশেষে বুঝেছেন চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। এতদিন মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলে আসছিলেন, যে, রোগী পরিষেবার পাশাপাশি তাঁরা আন্দোলন চালান এবার সেই পথই অনুসরণ করলেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন-আর্থিক সংকট এড়াতে দেড় লাখ সরকারি কর্মী ছাঁটাই পাকিস্তানে
মাইক্রোবায়োলজির বিভাগীয় প্রধান ডাঃ মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়, ফার্মাকোলজির প্রধান ডাঃ পরভিন বানু-সহ একাধিক অধ্যা পক জানিয়ে দেন, কিছু চিকিৎসক টানা আউটডোর-অপারেশন ইনডোর পরিষেবা দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অন্তত রোগী-স্বার্থে আন্দোলন জারি রেখেই কাজে ফিরুন পিজিটি ডাক্তাররা। এদিকে, কলেজের ক্রিটিক্যািল কেয়ারে রোগীর চাপ বাড়ায় বিভিন্ন বিভাগের আরও সাত চিকিৎসককে নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী সাতদিন পালা করে তাঁরা কাজ করবেন। ডাঃ তাপস প্রামাণিকের কথায়, রাজ্যে একাধিক জায়গায় বন্যাগ শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় রোগী-স্বার্থে কাজে ফেরা উচিত।