প্রতিবেদন : মহাকুম্ভে (MahaKumbha) ঘটে গেল মহাবিপর্যয়। রাজ্যের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গঙ্গাসাগর দুর্ঘটনাহীন থাকলেও, মহা আড়ম্বরের কুম্ভে শেষমেশ ঘটেই গেল বিপর্যয়। কেন্দ্রের সার্বিক সহায়তা, ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যের ব্যবস্থাপনা যে নিছক ঢক্কানিনাদ, তা প্রমাণ হয়ে গেল আবার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার একক দক্ষতায় গঙ্গাসাগরের মতো ক্ষেত্রকে সুষ্ঠুভাবে সামাল দিতে পারলেও, যোগী প্রশাসনের অব্যবস্থার নিদর্শন হয়ে রইল মহাকুম্ভ। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল আড়াইশোটিরও বেশি তাঁবু ও আখড়া। দাউ দাউ আগুন ছড়িয়ে পড়ল ২০ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে।
আরও পড়ুন-বাঁশবেড়িয়ার গঙ্গায় ডুবছে বাংলাদেশের কার্গো শিপ
প্রয়াগরাজে শাস্ত্রী ব্রিজের কাছে মহাকুম্ভ মেলার সেক্টর ১৯ চত্বরে হঠাৎ একটি তাঁবুতে আগুন লেগে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য তাঁবুতে। রান্নার সিলিন্ডার ফেটেই আগুন লাগে বলে জানা যায় প্রাথমিকভাবে। একের পর এক তাঁবু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিন্তু সেখানেও অব্যবস্থা, চরম অরাজক পরিস্থিতি। আতঙ্কে পুণ্যার্থীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুলিশকে অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যেতে হয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। আগুন ও হুড়োহুড়িতে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে আগুন লাগতেই কুম্ভমেলার নিরাপত্তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যোগীরাজ্যে ধুমধাম করে কুম্ভমেলার আসর বসে। সেখানে কেন্দ্র সমস্তরকম সহায়তা করে। তারপরেও পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কেন এত গলদ? সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেই। অথচ কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়াই বিশাল গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন করে বাংলার সরকার। লক্ষ লক্ষ মানুষ যোগ দেন। সেখানে একটা ছোট দুর্ঘটনাও ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় নির্বিঘ্নে শেষ হয় গঙ্গাসাগর। কেন্দ্রের উচিত পশ্চিমবঙ্গকে দেখে শেখা।