দীপাবলি-ছটে টিকিটে ছাড়, উপেক্ষিত দুর্গাপুজো, বাংলাবিরোধী কেন্দ্র

বাংলা-বিরোধিতা চরম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বাংলা ও বাঙালির প্রতি বিদ্বেষ দেখাতে গিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকেও তারা ছাড়ছে না।

Must read

প্রতিবেদন : বাংলা-বিরোধিতা চরম পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। বাংলা ও বাঙালির প্রতি বিদ্বেষ দেখাতে গিয়ে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকেও তারা ছাড়ছে না। কেন্দ্রের বঞ্চনা এবার ইউনেস্কো-স্বীকৃত বাংলার দুর্গাপুজোকেও। এবার রেল দীপাবলি ও ছটের রাউন্ড ট্রিপ টিকিটে ছাড় দিয়েই ক্ষান্ত হল, দুর্গাপুজোকেও উপেক্ষার খাতায় রেখে দিল তারা। দুর্গাপুজো বাংলার বড় উৎসব বলেই এই দ্বিচারিতা। তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রের এই বঞ্চনায় গর্জে উঠেছে।

আরও পড়ুন-জয় বাংলা স্লোগান! দমদমে এসি লোকালের উদ্বোধনে সুকান্তকে ঘিরে বিক্ষোভ আইএনটিটিইউসির

এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে বাংলা, বাঙালি ও বাংলাভাষাকে অপমান করার পর, বিজেপি এখন বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবকেও উপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় রেল দীপাবলি এবং ছট পুজোয় ভ্রমণের জন্য টিকিটে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু দুর্গাপুজোয় পরিকল্পনা করেই কোনও ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এটি সাংস্কৃতিক বর্ণবাদ। বিজেপির কাছে বাংলার উৎসবগুলি গুরুত্বপূর্ণ নয়, বাংলার ঐতিহ্যের কোনও মূল্য নেই ওদের কাছে। বিজেপি বাংলার গর্ব স্বীকার করতে চায় না। এটা বিজেপির সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার প্রতিফলন। বিজেপি উৎসবগুলিকে ভোট-ব্যাঙ্কের উপযোগিতা অনুসারে মূল্যায়ন করে। দুর্গাপুজো তাদের নির্বাচনী লভ্যাংশ বয়ে আনে না, তাই তারা দুর্গাপুজোকে উপেক্ষিত রেখে দেয়। তাতেই উঠে আসছে বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষের প্রসঙ্গ। রেলের টিকিটে ছাড়ের সিদ্ধান্তে আবার মোদি সরকারের ‘জুমলা’ও প্রকট হয়েছে। রেল জানিয়েছে, বর্তমানে ৬০ দিনের ‘অ্যাডভান্স রিজার্ভেশন পিরিয়ড’ চালু রয়েছে, ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ যুক্ত ট্রেন অর্থাৎ রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দীর মতো কোনও এক্সপ্রেসে এই ছাড় কার্যকর হবে না।

Latest article