কুম্ভ-ট্র্যাজেডি: সংসদের দুই কক্ষে বিরোধীদের নোটিশে ভয়ে আলোচনা খারিজ

Must read

প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে (Mahakumbh Stampede) নজর ছিল গোটা বিশ্বের। আর সেখানে পদপিষ্টের ঘটনায় মানুষের মৃত্যুতে মুখ পুড়েছে গোটা দেশের। এই মৃত্যু মিছিল কী নিছক দুর্ঘটনা, নাকি তার পিছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র? এই নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে আলোচনার দাবি জানান বিরোধীদলের সংসদরা। গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎপর কেন্দ্রের সরকার সোমবার পত্রপাঠ বিরোধীদের সেই আলোচনার দাবিকে খারিজ করে দিলেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। যোগী সরকারের জনবিরোধী নীতিকে ধামাচাপা দিতে কতটা তৎপর মোদি সরকার, ফের একবার প্রমাণিত হল রাজ্যসভায়।

২৯ জানুয়ারি মধ্যরাতে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের (Mahakumbh Stampede) ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর দাবি করে যোগী প্রশাসন। যদিও বেসরকারি মতে মৃত্যুর সংখ্যাটা ১০০ ছাড়াতে পারে বলে দাবি বিরোধীদের। মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে যোগী প্রশাসনের মিথ্যাচারের মুখোশ খুলে দিতে সচেষ্ট হয় তৃণমূল। এই ইস্যু নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের আগে প্রথমবার সর্বদল বৈঠকে সরব হন তৃণমূল সাংসদরা। জানানো হয় সোমবার প্রথম অধিবেশনের দিন ২৬৭ ধারায় নোটিশ জমা দিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হবে।

সেই মতো সোমবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডার সাগরিকা ঘোষ মহাকুম্ভ নিয়ে আলোচনার নোটিশ জমা দেন। তৃণমূলের পথ ধরে আলোচনা নোটিশ দেয় কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি সহ বিরোধী শিবিরগুলি। সোমবার মোট নটি নোটিশ জমা পড়েছিল ২৬৭ ধারায়।

আরও পড়ুন- বাজেটের পরই টাকার দরে রেকর্ড পতন! মূল্য কমছে ভারতীয় মুদ্রার

একইভাবে লোকসভাতেও আলোচনার দাবিতে সরব হন বিরোধী সাংসদরা। জিরো আওয়ারে কুম্ভমেলায় পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনার দাবি জানানো হয়। কেন্দ্র সরকারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু স্পষ্টভাবে নরেন্দ্র মোদির স্বৈরাচারী প্রতিনিধিত্ব করে জানিয়ে দেন বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটি কী কী আলোচনা হবে, তা নিয়ে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত নেবে।

বিরোধীদের নোটিশ জমার পরই ফের একবার মোদি সরকারের স্বৈরাচারী রূপ বেরিয়ে এল। লোকসভার মতো রাজ্যসভায়ও মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা নিয়ে আলোচনার সব নোটিশ খারিজ করে দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। প্রতিবাদে রাজ্যসভায় সরব হন বিরোধী সাংসদরা। ওয়াক আউট করেন তাঁরা। দ্বিতীয় মোদি সরকার জমানায় যেভাবে বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবারেও আলোচনার দাবি ফিরিয়ে দিয়ে একই পথে জগদীপ ধনকড়।

Latest article