রথের আগে জগন্নাথধামে শুরু হল ভাঁড়ে খিচুড়ি প্রসাদ বিলি

উদ্বোধনের পর থেকেই মানুষের চোখে-মুখে জগন্নাথ দর্শনের উন্মাদনার ছবি দেখা যাচ্ছে। এবার জগন্নাথধামে শুরু হয়ে গেল খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ

Must read

সংবাদদাতা, দিঘা : একদিকে সমুদ্র, অন্যদিকে প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দির দিঘায় খুলে দিয়েছে আধ্যাত্মিকতার নতুন দিগন্ত। উদ্বোধনের পর থেকেই মানুষের চোখে-মুখে জগন্নাথ দর্শনের উন্মাদনার ছবি দেখা যাচ্ছে। এবার জগন্নাথধামে শুরু হয়ে গেল খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা ইসকনের তরফে ইতিমধ্যে মাটির ভাঁড়ে শুরু হয়েছে খিচুড়ি প্রসাদ বিলির কাজ। রোজ দর্শনার্থীদের জন্য পাঁচ হাজার মাটির ভাঁড়ে খিচুড়ি প্রসাদ বিলির ব্যবস্থা হয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যেও এত ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে যে কদিন ধরে এই খিচুড়ি প্রসাদ বিলি আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মন্দির সূত্রে খবর, পাঁচ হাজার ভাঁড় খিচুড়ি বিলির জন্য ছোট ভাঁড়ের মূল্য ৫০ টাকা এবং বড় ভাঁড়ের মূল্য ১০০ টাকা ধার্য হয়েছে। মন্দির ক্যাম্পাসেই ভোগের জন্য ইসকনের ১০ সন্ন্যাসী তৈরি করছেন এই খিচুড়ি। তবে বর্তমানে জগন্নাথদেবের অনসর পর্ব চলায় মন্দিরের মদনমোহন বিগ্রহকে খিচুড়ি অর্পণ করে তা প্রসাদ হিসেবে বিলি করা হচ্ছে। রথের পরেই জগন্নাথের প্রসাদ হিসেবে বিলি হবে।

আরও পড়ুন-ভারতের ইতিহাসে হতে চলেছে বৃহত্তম বিমান বিমা-নিষ্পত্তি

মন্দির ট্রাস্টের সদস্য রাধারমণ দাস বলেন, ‘প্রসাদ বিক্রি শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।’ এদিকে দিঘায় এই প্রথম রথের প্রস্তুতিও একেবারে তুঙ্গে। প্রায় ২ লক্ষ মানুষ আসবেন আশা করা হচ্ছে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে। ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পুরনো জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় সেজেছে জগন্নাথের মাসির বাড়ি। সেখানে ব্যবস্থা হয়েছে রথ রাখার। রথের পরের দিন থেকে উল্টোরথ পর্যন্ত চলবে অন্ন মহোৎসব। রোজ সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা। উল্টোরথের দিন ১০ হাজার মানুষের জন্য অন্ন প্রসাদের ব্যবস্থা থাকবে। মন্দিরের সামনে ফরেস্টের বেশ কিছুটা জায়গায় ১০০টি দোকান বসবে। ইতিমধ্যে মাসির বাড়ি কমিটির তরফে রথের জন্য ১৩ জন ব্রাহ্মণ থাকবেন বলে জানানো হয়েছে। মূল রথের দিন মায়াপুর থেকেও ইসকনের ১০০ সন্ন্যাসী আসবেন। অতিরিক্ত ভিড় হলে প্রয়োজনে কিছু মানুষকে মন্দির ক্যাম্পাসে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও ১০০ মিটার অন্তর থাকবে এলইডি স্ক্রিন। মাসির বাড়ি কমিটির সভাপতি সুশীলকুমার প্রধান বলেন, ‘মাসির বাড়ির সব কাজ শেষ। গেটের কাজ জোরকদমে চলছে।’

Latest article