জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভা একসঙ্গে অভিযান, বর্ধমানে শুরু দখলদারি হটানোর কাজ

অভিযানে ছিলেন মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, ডিএসপি সদর অতনু ঘোষাল, পুরপতি পরেশচন্দ্র সরকার, আইসি দিব্যেন্দু দাস ও একাধিক কাউন্সিলার।

Must read

সংবাদদাতা, বর্ধমান : মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর রাজ্যের অন্যান্য এলাকার পর এবার বর্ধমান শহরেও দখলদারি মুক্ত করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনকে নিয়ে পথে নামল বর্ধমান পুরসভা। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পুরসভার একত্রিত অভিযানে শহরের জেলখানা মোড় থেকে বুড়িবাগান পর্যন্ত বুলডোজার চালিয়ে ভেঙে ফেলা হয় ফুটপাত ও রাস্তাদখল করে থাকা একাধিক দোকানের অস্থায়ী কাঠামো। এছাড়া ফুটপাত ও রাস্তা জুড়ে দোকান লাগানো একাধিক হকারকে সতর্ক করার পাশাপাশি বেশ কিছু হকারকে সতর্ক করা সত্ত্বেও দোকান লাগানোয় ব্যবসায়িক সামগ্রীও বাজেয়াপ্ত করা হয়। সোমবার পুরসভা থেকে শুরু হয় অভিযান। পুরসভা থেকে জেলখানা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে রাস্তা দখল করে পসরা নিয়ে বসে থাকা দোকানদার ও হকারদের দ্রুত মালপত্র সরিয়ে নেবার জন্য সতর্ক করা হয়। এরপর জেলখানা মোড় পৌঁছতেই সরাসরি উচ্ছেদ শুরু হয়। নিয়ে আসা হয় জেসিবি, পুরসভার ট্রলি লাগানো ট্রাক্টর। জেলখানা মোড়ে একের পর এক দোকান ভাঙা হতে থাকে। এরপরেই শুরু হয় হকার তথা অস্থায়ী দোকান ভাঙার কাজ। তড়িঘড়ি দোকান থেকে মালপত্র সরাতে শুরু করেন হকাররা।

আরও পড়ুন-কোভিডকাল অতীত স্ট্যাম্প ডিউটিতে ছাড় প্রত্যাহার

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর প্রথম দিকে ধীরে চলো নীতি নেয় বর্ধমান পুরসভা। গত কয়েকদিন ধরেই হকারদের উদ্দেশে শহরজুড়ে রাস্তা ও ফুটপাত ছেড়ে দোকান লাগানোর জন্য মাইকিং করা হয়। তারপর সোমবার অভিযান। অভিযানে ছিলেন মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস, ডিএসপি সদর অতনু ঘোষাল, পুরপতি পরেশচন্দ্র সরকার, আইসি দিব্যেন্দু দাস ও একাধিক কাউন্সিলার।
পুরপ্রধান পরেশ সরকার জানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের চলাচলের অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই শহর জুড়েই এই অভিযান চলবে।

Latest article