গড়ে দেওয়া হল জেলাভিত্তিক কোর কমিটি, অনলাইন আবেদনে নথিভুক্ত ভোটার তালিকায় বিশেষ নজর, ভূত ধরতে ডবল স্ক্রুটিনি

ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ছে নিয়ম করে। আশ্চর্যজনক ভাবে একই এপিক কার্ডে একাধিক লোকের নাম পাওয়া যাচ্ছে।

Must read

প্রতিবেদন : নেতাজি ইন্ডোরে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া কমিটির প্রথম বৈঠক হল তৃণমূল ভবনে। বৃহস্পতিবার ভুয়ো ভোটার নিয়ে কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। বৈঠকে একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ভুয়ো ভোটার ঠেকাতে। দলের নির্দেশ —
১. বাংলায় ভোট দেওয়ার অধিকারী নন এমন নামগুলিকে আলাদা করে নথিভুক্ত করতে হবে। ২. একই এপিক নাম্বারে আলাদা আলাদা নাম থাকলে সেটাকে পৃথকভাবে নথিভুক্ত করতে হবে। ৩. ২০২৫- এর ভোটার তালিকার বিধানসভাভিত্তিক প্রত্যেকটি বুথের প্রতিটি পার্টে ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে স্ক্রুটিনি করতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার তালিকার সত্যতা যাচাই করতে হবে। ৪. অন্যায় বা অযাচিতভাবে ভোটার তালিকা থেকে যে-সমস্ত নাম বাদ গিয়েছে সেগুলিকে পুনরায় নথিভুক্ত করতে হবে। ৫. অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে যে-সমস্ত ভোটারের নাম নথিভুক্ত হয়েছে সেগুলিকে বিশেষ নজরদারি করতে হবে।

আরও পড়ুন-ভুয়ো ভোটার নিয়ে কমিশনে তৃণমূল

একই সঙ্গে ভুয়ো ভোটার ঠেকাতে জেলাভিত্তিক কোর কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে থাকবেন সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি, চেয়ারম্যান, বিধায়ক, সাংসদ, জেলার শাখা সংগঠনের সভাপতি, ব্লক ও টাউনের সভাপতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পুরসভার চেয়ারম্যানরা। এছাড়াও নেত্রী যে ৩৬ জনের কমিটি করে দিয়েছেন তাঁদের ৩-৪ জন করে ভাগ করে নিয়ে একাধিক জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা জেলার কোর কমিটি এবং তৃণমূল ভবনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবেন এবং পরামর্শ দেবেন। গোটা পদ্ধতিতে কার্যত ডবল স্ক্রুটিনি হবে ভোটার তালিকার।
এদিনের বৈঠকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বুথ লেবেলে ও অঞ্চলে দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি। তিনি রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে জানিয়েছেন, আগামী ১৫ মার্চ আলাদা করে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন ভুয়ো ভোটার নিয়ে। এ-কথা বৈঠকের মাঝেই সকলকে জানিয়ে দেন রাজ্য সভাপতি। আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেত্রীর নির্দেশমতো কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ গোটা রাজ্য জুড়ে ভুয়ো ভোটার খুঁজতে তোলপাড় করে ফেলবে টিম তৃণমূল।

আরও পড়ুন-লন্ডনে খালিস্তানিদের হাতে আক্রান্ত হলেন জয়শঙ্কর

ইতিমধ্যেই একাধিক জেলায় ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ছে নিয়ম করে। আশ্চর্যজনক ভাবে একই এপিক কার্ডে একাধিক লোকের নাম পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে অন-লাইনে যাদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে, ‘ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন’ হয়নি, সেখানে দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গন্ডোগোল। মহারাষ্ট্র ও দিল্লি বিজেপির এই কারচুপি ধরতে পারেনি। কিন্তু বাংলায় ধরা পড়ে গিয়েছে এই চক্রান্ত। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় নির্দেশ মেনে মাঠে নেমে পড়েছেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। বিজেপির এই ঘৃণ্য চক্রান্ত রুখে দেবে তৃণমূল।

Latest article