প্রতিবেদন : বেহাত হয়ে যাওয়া খাসজমি (land)পুনরুদ্ধার করতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত রাজ্য প্রশাসন জেলায় জেলায় জমি জরিপের কাজ শুরু করেছে। বিভিন্ন সরকারি দফতরের অধীনস্থ জমির পাশাপাশি সরকারের ল্যান্ড ব্যাঙ্কের আওতায় থাকা জমির বাস্তবিক পরিমাপ নির্ধারণ করতেও জরিপ করে দেখা হবে বলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিনিয়র আইএএস আধিকারিক বিবেক কুমারকে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন। তারপরেই বিভিন্ন জেলাকে এই সমীক্ষা করা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহেই বিবেক কুমার নবান্নে এই বিষয় নিয়ে জেলাশাসকদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। সেখানে তার কাছে বিভিন্ন জেলায় থাকা খাসজমির পরিমাণ এবং তার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে রিপোর্ট পেশ করা হবে।
আরও পড়ুন-ইস্তফা দিলেন চম্পাই, ফের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হেমন্ত সোরেন
তারপরেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করা হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শিল্পের জমির সমস্যা মেটাতে নতুন করে ল্যান্ড ব্যাঙ্কের জমি নিয়ে তৎপর হন। আগের সরকারের তৈরি ল্যান্ড ব্যাঙ্কে আরও জমি যুক্ত করা হয়। তার মধ্যে শিল্প দফতর এবং রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমকে প্রায় ছয় হাজার একর জমি হস্তান্তর করা হয়। বাকি জমির কিছুটা দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারীদের পাট্টা দিয়েছে রাজ্য সরকার। ভূমি দফতর খতিয়ে দেখা শুরু করেছে, বাকি জমি কী অবস্থায় আছে। তা বেদখল হয়ে গিয়েছে কিনা।