পেগাসাস অধিকারির ঘনিষ্ঠদের দখলে জেলা কমিটিগুলি, প্রচন্ড ক্ষুব্ধ আদি নেতারা চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। তৎকাল বিজেপি গ্রাস করছে আদি বিজেপিকে। আরও খোলসা করে বলতে গেলে বিরোধী দলনেতা তথা পেগাসাস অধিকারি নিজের কূট পরিকল্পনা অনুযায়ী বিজেপির সব সাংগঠনিক জেলায় নিজের লোক বসাচ্ছে। এই অভিযোগে সরব এবার জেলার আদি বিজেপি নেতারা। তারা পেগাসাস অধিকারি সহ তৎকাল বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে দিল্লিতে বিজোপির শীর্ষ নেতৃত্বকে চিঠি দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন – পুরভোট নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠক
বিশেষ করে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে পেগাসাসের (Pegasus) ভাই সৌমেন্দু অধিকারিকে। তা নিয়ে জেলায় আদি বিজেপি নেতারা প্রচন্ড ক্ষুব্ধ। একইভাবে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে পেগাসাস (Pegasus) ঘনিষ্ঠ মেঘনাদ পালকে। এই ঘটনায় তমলুকের আদি বিজেপি নেতারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। এভাবে বিজেপির ৪২ টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ২০ টিরও বেশি জেলায় পেগাসাস নিজের লোক ঢুকিয়ে দিয়েছে নয়া কমিটিতে। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, বোলপুর সবকটি সাংগঠনিক জেলাতেই একই অবস্থা। উত্তর কলকাতার সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ২১ এর নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সজল ঘোষকে। কলকাতাতেও এনিয়ে আদি নেতাদের ক্ষোভ চরমে।
সংগঠনে জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত তিন বছর অতিক্রম করতে করতে হবে। এমনটাই বলেছিলেন শিবপ্রকাশ সহ অন্যান্য শীর্ষ বিজেপি নেতারা। কিন্তু এখন পেগাসাস অধিকারি ও তৎকাল বিজেপির দাপটে সেসব আদর্শ রীতি- নীতি চুলোয় গেছে। যে কারণে রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদারদের মতো নেতাদেরও নয়া কমিটিতে জায়গা না পেয়ে বিদ্রোহী হতে হয়। পিকনিক পলিটিক্স করতে হয়। এবার জেলাতেও একই বিদ্রোহের আগুন জলে উঠেছে। যা সামলানো যথেষ্টউ কঠিন হবে ঘনিষ্ঠ মহলে মানছেন বিজেপির পুরনো নেতারাই।