প্রতিবেদন : সমবায় অনুষ্ঠানে গিয়ে রীতিমতো গুন্ডামি চালাল বিজেপি। যার ফলে সোমবার পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে কেশবপুর সমবায় সমিতির অনুষ্ঠানকে ঘিরে বেধে গেল ধুন্ধুমার-কাণ্ড। এই অশান্তির পিছনে ছিল বিরোধী দলনেতার উসকানি। গদ্দার অধিকারীর উসকানিতে সমবায়ের অনুষ্ঠানে মারপিট-চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করেন বিজেপির কর্মীরা। চোর ধরো জেল ভরো স্লোগানও তুলে গুন্ডামি চালান তাঁরা।
আরও পড়ুন-এসপির তৈরি তথ্যচিত্র যাচ্ছে পর্তুগাল চলচ্চিত্র উৎসবে
সোমবার মহিষাদলের কেশবপুর রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতির একশো বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী এসে পৌঁছনোর পরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। তাঁকে দেখে ‘গো ব্যাক’ আওয়াজ তোলেন বিজেপির কর্মীরা। ‘চোর ধরো জেল ভরো’ স্লোগানও তোলা হয়। প্রতিবাদে গর্জে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। তারপরই উভয়ের মধ্যে গন্ডগোল বেধে যায়। শুরু হয়ে যায় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। মারমুখী হয়ে ওঠে বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় মারধরও। তৃণমূল কর্মীরা তার প্রতিরোধ করে। হুলুস্থূল বেধে গেলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন-কাতার ম্যাচে পরীক্ষা সুনীলদের
পরিস্থিতি জটিল আকার নেওয়ায় শেষমেশ অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যান তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি সর্বত্র এই কাজই করে। সব কিছু ভণ্ডুল করাই ওঁদের কাজ। আর এই কাজে পিছন থেকে উসকানি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথা মতোই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা অনুষ্ঠানে এসে গুন্ডামি চালিয়ে গেলেন। তিনি বলেন, তিন হাজার লোকের সমবায়। শান্তিপূর্ণভাবেই মিটিং চলছিল। সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করল বিজেপি। মানুষ সব দেখছে। বিজেপি কী করছে। মানুষ দেখছে কাদের হাতে সমবায় ও গ্রাম পঞ্চায়েতের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে। মানুষই তার জবাব দেবে।