সংবাদদাতা, দুর্গাপুর : কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণেও শরীরে দ্রুত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে এমন সতর্কবার্তা পেয়ে ফের নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। কোভিডের আগের দুটি ঢেউ অতর্কিতে আছড়ে পড়ায় হাসপাতালগুলির অধিকাংশই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় পায়নি।
আরও পড়ুন-বেনিয়ম ও অস্বচ্ছতার অভিযোগে তোলপাড় ইস্পাতনগরী, ডিএসপিতে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল
তবে এবার আর রাজ্যের কোনও হাসপাতালেই অক্সিজেনের কোনওরকম ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ২০২০-২১ সালে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত না থাকায় কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মলানদিঘির একটি বেসরকারি ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তারপরই মহকুমা হাসপাতালে একটি অক্সিজেন কারখানা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই অক্সিজেন কারখানা থেকে প্রতি ঘণ্টায় ৫০০টি সিলিন্ডার ভর্তি করা যাবে। গত বছর পর্যন্ত এই হাসপাতালের রোগীদের প্রতিদিন গড়ে ৮০ থেকে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন-জলাভূমি সংস্কারে কেন্দ্রের বরাদ্দ অমিল, অদৃশ্য পরিযায়ী পাখি
সহকারী সুপার শ্রীরূপা চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘‘এবার হাসপাতালে যথেষ্ট সিলিন্ডার মজুত। অক্সিজেনের অভাবে কোনও কোভিড রোগীর সমস্যা হবে না। হাসপাতালের নিজস্ব অক্সিজেন প্ল্যান্টে তৈরি অক্সিজেন জেলার প্রতিটি হাসপাতালেই প্রয়োজনে দেওয়া যাবে।’’ উল্লেখ্য, অতিমারির সময়ে দুর্গাপুর ইস্পাতে নিজস্ব প্ল্যান্টে উৎপাদিত অক্সিজেন রেলের রেকে করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা হলেও পশ্চিমবঙ্গকে বঞ্চিত করা হয়। এর বিরুদ্ধে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন তীব্র বিক্ষোভ জানালেও কেন্দ্রের অধীনস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কর্তৃপক্ষ বাংলাকে বঞ্চনার নীতি থেকে একচুলও সরেনি।