প্রতিবেদন : ১০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি-কাণ্ডে ধৃত আফরোজ খান দস্তুরমতো অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। কসবার গুলশান কলোনি এলাকায় রমরমিয়ে চলত আফরোজ-সহ ১২ জনের সিন্ডিকেট রাজ! পুকুর ভরাট থেকে শুরু করে জমি দখলের মতো একগুচ্ছ বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সে। ভেড়ি ভরাটে বাধা দেওয়াতেই কাউন্সিলরকে খুনের ছক! পুলিশি জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছে কাউন্সিলরকে গুলি-কাণ্ডে ধৃত আফরোজ খান। রবিবার তাকে আদালতে পেশ করলে ১৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে, এদিন সাতসকালে ১০৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের বাড়ির পাশে শান্তিপল্লি খালে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই রাস্তা দিয়েই পালিয়েছিল মূল অভিযুক্ত আফরোজ। আর পালানোর সময় তাঁর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটি এই খালে ছুঁড়ে ফেলা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতেই এদিনের এই ডুবুরি তল্লাশি।
আরও পড়ুন- বিহার : আইসিইউতে দেহ, গায়েব হল চোখ!
শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ির সামনেই কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে গুলি করে খুন করতে এসেছিল দুই দুষ্কৃতী। ঘটনাস্থলেই যুবরাজ সিং নামের এক নাবালক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করা হয়েছিল। তারপর শনিবার পূর্ব বর্ধমানের গলসি থেকে হামলার মূল অভিযুক্ত আফরোজ খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিহার পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে লালবাজারের তরফে। তাদের কাছ থেকে ধৃত যুবরাজ ও তার সঙ্গীদের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের নামে কোনও মামলা আছে কি না, জানতে চেয়েছে লালবাজার। এদিকে পুলিশি জেরার মুখে আফরোজ জানিয়েছে, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই কাউন্সিলরকে খুনের পরিকল্পনা! আফরোজের সিন্ডিকেটকে একটি একশো বিঘা ভেড়ি ভরাটে বাধা দিয়েছিলেন কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ। আফরোজের দাবি, তারপরই গত জুলাই থেকে অক্টোবরের পুজোর মধ্যে পাঁচমাসে তিনবার কাউন্সিলরকে প্রাণে মারার ছক কষা হয়েছিল। এর মধ্যে দু’বার বিহার থেকে আনা হয়েছিল ভাড়া করা দুষ্কৃতী।