প্রতিবেদন : এসআইআরের নামে বাংলায় ভোটারদের নাম কাটার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সে-কারণেই তাড়াহুড়ো করে বাংলায় এসআইআর। বাংলায় ২০০২-এর ভোটার তালিকায় থাকা সত্ত্বেও কেন ওয়েবসাইটের তালিকায় নাম নেই, তার সুস্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। পিছু হটে এখন দায় এড়ানোর খেলা শুরু করেছে তারা। পরিকল্পিতভাবে দোষ চাপানো হচ্ছে জেলাশাসকদের ঘাড়ে।
নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, অশোকনগর ও বসিরহাট জুড়ে একের পর এক ভোটকেন্দ্রে দেখা যাচ্ছে নাম মুছে যাওয়ার ঘটনা। বসিরহাটের এক বুথে তো ৮৫৯ থেকে ৮৯২ পর্যন্ত পুরো সারিটাই ফাঁকা! কিন্তু সরাসরি জবাব দেওয়ার বদলে নির্বাচন কমিশন এখন ট্যুইটে ব্যস্ত, দায় ঠেলে দিচ্ছে জেলাশাসকদের ঘাড়ে। এই কৌশল কার্যত দায় এড়ানোর পুরনো খেলা, যা এর আগে বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে ওঠা বিতর্কের সময়েও দেখা গিয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এই গোটা প্রক্রিয়াকে আখ্যা দিয়েছে সাইলেন্ট ইনভিসিবল রিগিং অর্থাৎ চুপি-চুপি ভোট কারচুপি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন, এই প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে বাঙালি ভোটারদের বেছে বেছে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে, আর সেটিকে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনিক ধোঁয়াশার আড়ালে। তৃণমূল কংগ্রেসের স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, যদি বৈধ ভোটারদের নাম এভাবে মুছে দেওয়া হয়, তবে নির্বাচন কমিশনের সদর দফতর ‘নির্বাচন সদন’-এর দরজায় পৌঁছাবে বাংলার প্রতিবাদ।

