শিশুটির বয়স পাঁচ আর যোগীর উত্তরপ্রদেশের (UttarPradesh) জালৌনে সেই ছোট্ট শিশুকে এবার ধূমপানে বাধ্য করলেন এক চিকিৎসক। ঠান্ডা লাগার ফলে ছোট্ট শিশুটিকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবার। ওষুধ দেওয়ার পরিবর্তে, হঠাৎ শিশুটিকে সিগারেটে টান দেওয়ান ওই চিকিৎসক। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সেই চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু কেন হবে এমন অমানবিক ব্যবহার?
কুথৌন্দের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক সুরেশ চন্দ্র শিশুটির ঠান্ডা লাগার কথা শুনে শিশুটিকে ধূমপান করান। গোটা ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বয়স্ক চিকিৎসকের পাশেই বসে রয়েছে খুদে শিশুটি। তার ঠোঁটে একটি সিগারেট। ছোট্ট আঙুলে ধরে তাতে টান দিতে যাচ্ছে শিশুটি। চিকিৎসক বলেন, “এভাবে টান দেয় না। আমি জ্বালাচ্ছি।” এরপরেই তিনি পকেট থেকে লাইটার বের করে সিগারেটে আগুন ধরিয়ে দেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি শিশুটিকে জোরে জোরে ধোঁয়া টানতে বলেন। স্বাভাবিকভাবেই শিশুটি ধোঁয়া টানতে পারছিল না। শিশুটির হাত থেকে তিনি নিজেই সিগারেট নিয়ে ধোঁয়া টেনে দেখান। বাইরে নয়, ধোঁয়া ভিতরে নিতে হবে বলেন।
শিশুটি সিগারেট নিভিয়ে ফেলে। চিকিৎসক বলেন “ফের ফুঁ দিচ্ছে!” এরপরেই আবার সিগারেট ধরিয়ে দেন তিনি। শোনা যায় তিনি বলছেন, “আজকের জন্য এতটা ট্রেনিং যথেষ্ট। আবার যখন আসবে আবার শেখাব।”
আরও পড়ুন-নাটকের মঞ্চে স্বপ্নের উড়ান পার্থদের
ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শুধু বদলি নয়, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি তোলেন সকলেই। চিফ মেডিক্যাল অফিসার নরেন্দ্র দেব শর্মা জানান তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কেন তিনি এমন ঘৃণ্য একটি কাজ করলেন।