প্রতিবেদন : এখন থেকে সিনিয়র ডাক্তারদের (Doctors) সঙ্গে না নিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা আর রোগী দেখতে যেতে পারবেন না। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে সিনিয়র ডাক্তাররা যাতে হাসপাতালের রোস্টার মেনে আট ঘণ্টা করে ডিউটি করেন সেজন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ফলতার সেবাশ্রয়ে ৫ দিনে ৬৫ হাজার মানুষ উপকৃত
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, পরিকাঠামো, আসন বৃদ্ধির বিষয়টি দেখার কথা প্রশাসনের। কিন্তু চিকিৎসার বিষয়টি ডাক্তারের (Doctors) উপরই নির্ভর করে। সেটা তিনি বা মুখ্যসচিব বা স্বাস্থ্যসচিব পারবেন না। তাঁর কথায়, সরকারি নীতি হল, সরকারি ডাক্তারদের ৮ ঘণ্টা হাসপাতালে উপস্থিত থাকতে হবে। সেবা তাদের সবচেয়ে বড় কাজ। কোনও কোনও রোগীর ক্ষেত্রে এক সেকেন্ডও অপেক্ষা করা যায় না। ঘটনার দিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোনও সিনিয়র চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন না বলে তদন্তে জানা গেছে। এ জন্য রোগীর পরিবার আঙুল তুললে, তা সহ্যও করতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে অন্য একটি ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও এক পপুলার হাসপাতালে এক এডিটর নিউজ হাউজের ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসক যোগী ও সিনিয়র এক ডাক্তার দেখছিলেন। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে গলায় তিন জন স্টেথো ঝুলিয়ে এসে তাকে বললেন আরে আপনার ক্রিয়েটিনিন হাই, আপনাকে ডায়ালিসিস করতে হবে। সব না জেনে কমেন্টস করা, ফাইলে লেখা, যে রোগী ভাল হয়ে যাচ্ছিল, তাকে আবার ধাক্কা দেওয়া। সিনিয়র বা হেড অফ ডিপার্টমেন্ট ট্রেনিদের নিয়ে যাবে সঙ্গে করে।’’ এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেও, গাফিলতি কোনওভাবেই রেয়াত করা হবে না। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে আমার আবেদন, ৮ ঘণ্টা করে ডিউটি যেটা ঠিক করা আছে, তা পালন করতে হবে। আমরা প্রায়ই জানতে পারি, বায়োমেট্রিকে হাজিরা দিয়ে অনেক ডাক্তারই ২ ঘণ্টা থেকে হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে চলে যান। অন্যত্র চিকিৎসা করে আবার তাঁরা ফিরে আসেন। সবাই নয়। অনেকেই ভাল কাজ করেন। কিন্তু সরকারি কাজ করব, একই সময়ে প্রাইভেটেও অস্ত্রোপচার করব—এটা হয় না। ৮ ঘণ্টা সময় থাকতেই হবে। তার বাইরে করুন না।’’