শান্তনু বেরা, কাঁথি : যতদূর চোখ যায় শুধু রংবেরঙের ফুল আর ফুল। একঝলক দেখলে মনে হয় যেন ‘ফুলের দেশ’। এই হল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার ফুলের শহর ক্ষীরাই (Khirai)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একান্ত ইচ্ছা অনুযায়ী এই ফুলের শহরের উপর ডকুমেন্টারি ফিল্ম তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার সেই ফুলের বাগান পরিদর্শন করলেন মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি। সঙ্গে অংশগ্রহণ করলেন সেই ডকুমেন্টারি ফিল্মের শুটিংয়ে। মৎস্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দ মিশ্র, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হানিফ মোহাম্মদ, সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক-সহ একাধিক নেতৃত্ব। রাজ্য সরকারের আদেশ অনুসারে এদিন ডকুমেন্ট ফিল্মের শুটিং হয় ক্ষীরাই (Khirai) গ্রামের ফুলের বাগানে। শুটিং স্পটে উপস্থিত থেকে ফুলের বাগান পরিদর্শনের পাশাপাশি ডকুমেন্ট ফিল্মের শুটিং উপভোগ করলেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে এই ফুলের শহর দেখতে আসা পর্যটকরা।
আরও পড়ুন – ছাগলের টোপে বন্দি বাঘ
ফুলের বাগানে পর্যটকদের জন্য পঞ্চায়েত ও পুরসভার যৌথ উদ্যোগে সমন্বয় তৈরি করে কংসাবতী নদীর উপর ফুটব্রিজ তৈরি করার একটা ভাবনা ইতিমধ্যে নিয়েছে পাঁশকুড়া পুর প্রশাসক নন্দ মিশ্র। মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘বাংলা ছাড়িয়ে এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এটা একটা সর্ববৃহৎ ফুলবাগান। যেখানে হাজার হাজার ফুলের চাষ হয়। পাঁশকুড়ার এই ফুলবাগানকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটা হেরিটেজ ডকুমেন্ট ফিল্ম তৈরি করছেন। পুরসভা এবং পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে কয়েক শত বিঘা জমি জুড়ে নানান জাতের ফুলচাষ হচ্ছে, যে ফুলগুলি বাইরের দেশে রপ্তানি হয়। আমাদের গর্বের বিষয় পাঁশকুড়া পশ্চিমবঙ্গ ছাড়িয়ে ফুল উৎপাদনে ভারতবর্ষের মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে।’ এই ফুলবাগানে কয়েক হাজার মানুষের ভিড় হয় বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন আসেন ছবির মতো সাজানো বিধার পর বিঘা ফুলবাগান দেখতে। পাঁশকুড়ার এই ফুলের বাগানকে পর্যটন কেন্দ্র করতে গেলে বেশকিছু কাজকর্ম করার পাশাপাশি এখানে আবাসন তৈরি করতে হবে, মানুষজন আসবেন থাকবেন। পরবর্তীকালে পুরসভা এবং পঞ্চায়েত চিন্তাভাবনা করে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করলে নিশ্চিতভাবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যাবে— এমনটাই জানালেন মন্ত্রী অখিল গিরি।