প্রতিবেদন : জম্মু ও কাশ্মীরের ডোডা জেলায় মঙ্গলবার মেঘভাঙা বৃষ্টির দাপটে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে কাঠুয়া ও কিশতওয়ার জেলাতেও একই ধরনের দুর্যোগ দেখা গিয়েছিল। আকস্মিক ও ভারী বর্ষণের ফলে বন্যার জেরে বহু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরেছি : সূর্য
জম্মু অঞ্চলের কাঠুয়া, সাম্বা, ডোডা, জম্মু, রামবন এবং কিশতওয়ার-সহ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পুরো জম্মু ডিভিশনে সরকারি ও বেসরকারি স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। ভূমিধস এবং পাথর পড়ার আশঙ্কায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্থগিত রাখা হয়। ডোডার একটি স্থানীয় নদী উপচে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভেসে গেছে। একাধিক নদী ও খালে ইতিমধ্যেই বিপদসীমার ওপর দিয়ে জল প্রবাহিত হচ্ছে এবং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতের মধ্যে জলের স্তর আরও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রশাসনিক এক কর্মকর্তা বলেছেন, জম্মু অঞ্চলে বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং লোকজনকে জলাশয় এবং ভূমিধসপ্রবণ এলাকা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস এবং সমতল অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বেশিরভাগ নদীর জলের স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। কাঠুয়া জেলায় সোমবার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ১৫৫.৬ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, এরপর ডোডার ভাদেরওয়াহতে ৯৯.৮ মিমি, জম্মুতে ৮১.৫ মিমি এবং কাটরায় ৬৮.৮ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানায় আবহাওয়া দফতর। ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত উঁচু এলাকায় সম্ভাব্য মেঘভাঙা বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের বিষয়ে সতর্কতা জারি হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণদলকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। জম্মুতে সপ্তাহান্তে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ১৯০.৪ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা অগাস্ট মাসের জন্য এক শতাব্দীর মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। এর আগে অগাস্ট মাসের জন্য সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল ১৯২৬ সালের ৫ অগাস্ট, ২২৮.৬ মিমি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট, ১৮৯.৬ মিমি।