দুইদিনের মণিপুর (Manipur) সফরের পরে রবিবার দিল্লি ফিরে মণিপুরের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব (Sushmita Dev)| প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) নিশানা করে জানান মণিপুরের নির্যাতিতারা INDIA- জোটের মহিলা প্রতিনিধিদের কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দেন।
আরও পড়ুন-যোগীরাজ্যে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিকে বেধড়ক মার পুলিশকর্মীর
এদিন সুস্মিতা দেব জানান, “আমরা যখন মণিপুরে পৌঁছেছি স্থানীয়রা আমাদের আন্তরিক অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। তাঁরা ভাবতেই পারেননি বিরোধীরা পার্লামেন্টে মণিপুর ইস্যুকে নিয়ে এতটা সরব হবে।” নিজেদের মধ্যে যতই সংঘর্ষ থাক, নরেন্দ্র মোদির নীরবতা নিয়ে কুকি এবং মেইতেই দুই পক্ষই তুলোধনা করছে। মণিপুরে নির্যাতিতাদের প্রশ্ন, ,”মণিপুরের এই শোচনীয় পরিস্থিতির কথা কি দেশের প্রধানমন্ত্রী জানেন না? মোদির কাছে কি ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট নেই? সব জেনেও প্রধানমন্ত্রী এতদিন চুপ রয়েছেন কেন!”
আরও পড়ুন-‘আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত’ রাজ্যপালের কাছে স্মারকলিপি ইন্ডিয়া জোটের, টুইট তৃণমূল কংগ্রেসের
জাতিগত হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধি দল দেখা করে মণিপুর কাণ্ডের নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের সঙ্গে। ধর্ষণ করে খুন করা মহিলার মাকে। ইন্ডিয়া জোটের মহিলা সাংসদদের কাছে কাঁদতে কাঁদতে সাহায্যের অনুরোধ করেছেন তিনি। স্বামী ও ছেলের দেহ দেখতে চান, যাঁদের সেদিনই খুন করা হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব দেখা করেছেন, বিবস্ত্র করে হাঁটানো মহিলার সঙ্গেও। রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যিনি আবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এতদিন পরেও ওই ঘটনার কোনও তদন্ত কমিটি গঠন করলেন না। যে বিষয়টি বিরোধীরা পার্লামেন্টে তুলল, সারা দেশ দেখলো, সেটা নিয়ে নাকি প্রধানমন্ত্রীর কাছে খবর ছিল না এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?”
আরও পড়ুন-মদের দোকানের লাইনে ঝামেলার জেরে ঢাকুরিয়ায় পিটিয়ে ‘খুন’ এক ক্রেতাকে
একের পর এক ত্রাণ শিবির ঘোরার পর ইন্ডিয়া জোটের সাংসদদের অভিজ্ঞতা, এখন আর আলাদা করে কুকি বা মেইতেই নয়, উভয় পক্ষই চাইছে এলাকার শান্তি। রাজ্য বা কেন্দ্র কারও উপরেই খুশি নয় তারা। এলাকার নির্যাতিতা মহিলাদের একটাই বক্তব্য, পুলিশের চোখের সামনে সবকিছু ঘটার পরেও সে খবর প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছল না, এটাই অবিশ্বাস্য।