প্ররোচনায় পা নয়, কাল ইনডোরে মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন পুরোটা শুনুন

সমাধান যারা চায় না সেই কুচক্রীরা কাল নেতাজি ইনডোরের সভায় অশান্তি তৈরির ছক করছে। এই গ্রুপগুলোর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন।

Must read

প্রতিবেদন : সমাধান যারা চায় না সেই কুচক্রীরা কাল নেতাজি ইনডোরের সভায় অশান্তি তৈরির ছক করছে। এই গ্রুপগুলোর ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন। রবিবার স্পষ্ট ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেস একথা জানিয়ে দিল। সেই সঙ্গে অনুরোধ, কোনওরকম প্ররোচনায় পা না দিয়ে আগে মুখ্যমন্ত্রীর পুরো বক্তব্য শুনুন। রবিবার, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমাদের কাছে খবর রয়েছে, কাল নেতাজি ইনডোরের সভায় বিরোধী দলের মদতে একাংশ প্ররোচনা দিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করতে পারে। তারা চায় না চাকরিহারারা মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনুক। আসলে তারা সমস্যার সমাধান চায় না। খবর রয়েছে, প্রলোভন দেখিয়ে লোক ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, নির্বিবাদে যাতে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শোনা না যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার চায় জট খুলতে। বিরোধীরা তা চায় না। সিপিএম- বিজেপি একজোট হয়ে এই কাণ্ডটি করতে চাইছে। ছোট ছোট গ্রুপ করে লোক ঢুকিয়ে দিয়ে প্ররোচনা এবং অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, যারা প্ররোচনা দেবে তাদের প্রত্যাখ্যান করুন। তার কারণ, সিপিএম-বিজেপি চায় আপনারা চোখের জল ফেলুন আর সেই চোখের জলকে সামনে রেখেই তারা রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে। অন্যদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন সমস্যার সমাধান। চাইছেন জট খুলতে। চাইছেন চাকরিহারাদের চোখের জল মুছতে।

আরও পড়ুন-মার্চে চাকরিহারা ৪২ লক্ষ! মোদির ‘বিকশিত ভারতে’ উদ্বেগ

সিপিএম, বিজেপি-সহ বিরোধীদের বিরোধিতা আসলে নিজেদের পাপ ঢাকার চেষ্টা। ত্রিপুরার কথা ভুলে গেলে চলবে না। ত্রিপুরায় ১০, ৩২৩ জনের চাকরি গিয়েছিল বাম আমলে। হতভাগ্যদের চাকরি ফেরত দিতে পারেনি। বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে যে চাকরিহারারা চাকরি ফেরত পাবেন। কিন্তু বিজেপি যে মিথ্যাচার করেছে তা ত্রিপুরার মানুষ দেখেছেন। মধ্যপ্রদেশে বিজেপির ব্যাপম দুর্নীতির কথা ভুললে চলবে না। যে দুর্নীতির কারণে কোনও সুরাহা হয়নি। শুধু তাই নয়, দুর্নীতি ঢাকতে গিয়ে একের পর এক মৃত্যুর ছবিও দেখা গিয়েছে। বিরোধীরা নিজেদের এই সব পাপের ঘটনা ঢাকতে এখন নোংরা রাজনীতি করছে।
এদিন তৃণমূল মুখপাত্র স্পষ্ট ভাষায় জানান, মুখ্যমন্ত্রীর গোটা বক্তব্য চাকরিপ্রার্থীরা শুনুন, ভেতরে গিয়ে কেউ অযথা অশান্তি তৈরির চেষ্টা করলে চিহ্নিত হয়ে যাবেন। যাঁরা বিপদে পড়েছেন তাঁদের মানসিক পরিস্থিতির কথা বোঝার চেষ্টা করুন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনুন। মুখ্যমন্ত্রী কোন ফর্মুলায় সমাধানের চেষ্টা করেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। যারা প্ররোচনা দেবে তাদের প্রত্যাখ্যান করুন।

আরও পড়ুন-”ভালভাবেই সেলিব্রেশন হচ্ছে, এটাই চাই” পরিস্থিতি পরিদর্শনে নগরপাল

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে। রায়ে যেভাবে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাতে পদ্ধতিগত দ্বিমত পোষণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ-ব্যাপারে তৃণমূলের স্পষ্ট দুটি অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। প্রথমত, চাকরির দুর্নীতি নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের শাস্তি হোক। দল তাদের পাশে দাঁড়াবে না। একটি শব্দ উচ্চারণ করবে না। দ্বিতীয়ত, যোগ্যদেরও চাকরি খাওয়া হয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্যদের এক সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না। কোর্টের রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে কারা টাকা ফেরত দেবে আর কাদের টাকা ফেরত দিতে হবে না। এই কথাতেই পরিষ্কার হয় কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে ১২১২ জন র্যা ঙ্ক জাম্পিংয়ে অভিযুক্ত। ৪০৯১ জনের ওএমআর শিটে অসঙ্গতি রয়েছে। প্রশ্ন এখানেই। তাহলে বাকি ২০,৪৫০ জনের চাকরি খাওয়া হল কেন? শুধু এই অসঙ্গতি নয়, ওএমআর শিটের অনুসন্ধানে গাজিয়াবাদের পঙ্কজ বনশলের নাম এসেছে। তার ছাদ থেকে নাকি ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন এবং ধন্দ তৈরি হয়েছে। এ-বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা উচিত। পঙ্কজকে গ্রেফতার করে জেরা করা উচিত। অভিযোগ, বাংলাকে টার্গেট করে রাম-বাম রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিতে নেমেছে।

Latest article