দোহা, ১৫ ডিসেম্বর : বিশ্বকাপে মরক্কোর রূপকথার দৌড় থামিয়ে দিয়েছে ফ্রান্স। সেমিফাইনালে দুই বন্ধুর দ্বৈরথে কিলিয়ান এমবাপের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছেন মরক্কোর আশরাফ হাকিমি। ম্যাচ শেষে বন্ধুত্বেরই জয়গান। পিএসজি-তে খেলা দুই বন্ধু পরস্পরের জার্সি বদল করেছেন। বন্ধু হাকিমিকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছেন এমবাপে। পরে ট্যুইটে হাকিমিকে উদ্দেশ্য করে ফরাসি তারকা লিখেছেন, ‘‘হতাশ হয়ো না ভাই। তুমি ইতিহাস গড়েছ। তুমি যা করেছ, তা নিয়ে সবাই গর্ব করছে।’’
আরও পড়ুন-মেসির হাতেই বিশ্বকাপ দেখছে কাতার
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হারের মধ্যে অগৌরবের কিছু দেখছে না মরক্কো শিবির। বরং হাকিমি, সোফিয়ান আমরাবতদের পারফরম্যান্সে গর্বিত কোচ ওয়ালিদ রেগ্রেগুই। বলেছেন, ‘‘সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ায় আমরা হতাশ। আরও এগোতে পারতাম আমরা। এখন চেষ্টা করব, ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে তৃতীয় স্থান পাওয়ার। তবে আমাদের খুশি হওয়ার কারণও আছে। এই মরক্কো দলটার জন্য শুধু আফ্রিকা নয়, গোটা বিশ্ব গর্বিত। আফ্রিকার ফুটবলের ভাবমূর্তি বিশ্ব মঞ্চে নতুনভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে মরক্কো। আমরা দেখিয়েছি ইচ্ছাশক্তি, মানসিক দৃঢ়তা। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ, মরক্কোয় ফুটবলের অস্তিত্ব যে রয়েছে সেটাও প্রমাণ করেছি। আমাদের সমর্থক বিশ্বজুড়ে রয়েছে। এখন থেকে মানুষ আরও বেশি সম্মান করবে আমাদের।’’
আরও পড়ুন-হেরেও মন জিতলেন মরক্কোর সমর্থকরা
ফ্রান্সকে শুভেচ্ছা জানিয়ে রেগ্রেগুই বলেন, ‘‘আমাদের হার হজম করতে হবে। ছোটখাটো জিনিস প্রকৃত চ্যাম্পিয়নদের জিততে সাহায্য করেছে। ফ্রান্স দলে অনেক যোগ্য পরিবর্ত। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। চোট-আঘাত, ক্লান্তি সত্ত্বেও আমরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছি। তবে ফাইনালে ফ্রান্সকেই আমরা সমর্থন করব। ওদের অভিনন্দন। মিরাকেল দিয়ে বিশ্বকাপ জেতা যায় না। কঠিন পরিশ্রম লাগে। আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তবেই একদিন সাফল্য আসবে মরক্কোর।’’