‘সবাইকে ভাষা ও জাতি দিয়ে ভাগ করবেন না’ মেঘালয়ে নতুন স্বপ্নের সন্ধান দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে মেঘালয়ের মানুষের জন্য নতুন করে বেশ কিছু কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)

Must read

পাখির চোখ এখন আগামী বছর মেঘালয়(Meghalaya) বিধানসভা নির্বাচন। মেঘালয়াতে তৃণমূলের সংগঠনকে(TMC) মজবুত করতে শিলংয়ে আজ কর্মিসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেঘালয়ের মানুষকে নতুন সরকার গড়ার বার্তা দিলেন তিনি। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলে মেঘালয়ের মানুষের জন্য নতুন করে বেশ কিছু কাজ করারও প্রতিশ্রুতি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)।

আরও পড়ুন-‘সে সিবিআই কাস্টডিতে কী করে মারা গেল? আমরা ইস্যুটা তুলছিলাম’ লালনের মৃত্যু নিয়ে সরব মুখ্যমন্ত্রী

মঙ্গলবার তৃণমূলের কর্মিসভা থেকে বাংলায় উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপি শাসনে মেঘালয়ের বর্তমান অবস্থা কি, তা তুলে ধরে মেঘ রাজ্যে পরিবর্তনের ডাক দেন মমতা। তিনি বলেন, “ভোটের ঠিক আগে বিজেপি নেতারা মেঘালয়ে আসবেন এবং অনেক গল্প করবেন। বলবেন, লাভ ইউ, আমরা সব করে দেব….কিন্তু ভোটের আগে এটা কেন নয়? ৫ জনের মৃত্যু হল। কিন্তু সরকার তাঁদের পরিবারের জন্য কিছু করল না। এরকম আমাদের রাজ্যে (বাংলা) হলে আমরা প্রত্যেক পরিবারের এক সদস্যকে চাকরি দিতাম।” পাশাপাশি মেঘালয় নিয়ে তৃণমূলের পরিকল্পনা স্পষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মেঘালয়ের মানুষ মেঘালয় শাসন করবে আমি ও অভিষেক আপনাদের পরামর্শ দেব। ক্ষমতা থাকবে মেঘালয়বাসীর হাতে।” বিজেপিকে তোপ দেগে তিনি আরো বলেন, “বিজেপিকে প্রশ্ন করছি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মেঘালয়ের উন্নয়ন কেন হয়নি? দিল্লি বা অসমের কোন বাইরের লোক এসে মেঘালয় চালাবে না।”

আরও পড়ুন-মেঘালয়: কর্মিসভার মঞ্চে সাকেতকে ডাকলেন তৃণমূল সুপ্রিমো, করলেন গ্রেফতারি নিয়ে নিন্দা

বাংলার সঙ্গে বিজেপি শাসনে মেঘালয়ের তুলনা টেনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলায় বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে এবং দেশে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ বেড়েছে। মেঘালয়ে এই ৫ বছরে কিছু করেনি। বেকারত্বের সংখ্যা আরও বেড়েছে।” পাশাপাশি বলেন, “ভোটের সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করার কথা ঘোষণা করেছিলাম, ভোটে জেতার পর সেটা করে দিয়েছি। মহিলারা ১ হাজার টাকা করে পায়। এখানে স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কোনও সুবিধা নেই। আমাদের রাজ্যে স্বাস্থ্যসাথী রয়েছে। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাওয়া যায়। এখানে মাত্র ১টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আমাদের রাজ্যে ৩৩টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করেছি। মেঘালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য কিছু করা হয়নি। আমাদের রাজ্যে সরকারি স্কুলে সকলে বিনামূল্যে শিক্ষা পায়। শিক্ষাশ্রী, কন্যাশ্রী রয়েছে। এছাড়াও তিনি জানান, “উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে মহিলাদের ভূমিকা বেশি। আমরা ক্ষমতায় এলে মহিলা ক্ষমতায়নের কাজ করব।”

আরও পড়ুন-পুলিশকে নির্দেশ, আবাস যোজনার সমীক্ষায় সমস্যা না হয় আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের

পাশাপাশি তৃণমূল বাঙালি দল বলে বিজেপি যে অভিযোগ করে তা খন্ডন করে মমতা বলেন, “তৃণমূলকে বাঙালিদের দল বলে প্রচার করা হচ্ছে তাহলে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের গান গাও কেন? রবীন্দ্রনাথ অনেক বার মেঘালয় এসেছিলেন। তার লেখা গান জাতীয় সংগীত। সবাই সেই গান করেন তখন কি বলেন তিনি বাঙালি। সুভাষচন্দ্র বসু বাঙালি ছিলেন। তার দেওয়া স্লোগান জয় হিন্দ সবাই দেন তাই কেন আমাকে বা আমার দলকে বাংলার বলা হচ্ছে।” এরপর বিজেপিকে তোর দেগে বলেন, “সবাইকে ভাষা ও জাতি দিয়ে ভাগ করবেন না। বিজেপিকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয় তা আমরা জানি। কারণ বাংলায় এমন হারিয়েছি যে কখনো ভুলবে না।

Latest article